Posts

Showing posts from May, 2023

মেটারনিক ব্যবস্থা কি? এটি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল কেন ?

Image
মেটারনিক ব্যবস্থা কি? এটি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল কেন ?

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ম্যাৎসিনি ও গ্যারিবল্ডির ভূমিকা আলোচনা করো

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ম্যাৎসিনি ও গ্যারিবল্ডির ভূমিকা আলোচনা করো জোসেফ ম্যাৎসিনির ভূমিকা : ইতালির ঐক্য আন্দোলনের অন্যতম একজন প্রাণ পুরুষ ছিলেন জোসেফ ম্যাৎসিনি। তিনি মনে করতেন যে, ইতালির অধিবাসীরাই ছত্রভঙ্গ ইতালির ঐক্য আনতে সক্ষম। এই কারণে তিনি ইতালির যুবশক্তিকে সুসংহত করতে চেষ্টা করেছিলেন। ইয়ং ইতালি ঃ ম্যাৎসিনি ইতালির জনগণের মধ্যে নতুন জীবনী শক্তির সঞ্চার করার লক্ষ্যে ইয়ং ইতালি নামে একটি শক্তিশালী দল গঠন করেছিলেন। যাতে ৩০ হাজার সদস্য ছিল। শৈশবকাল থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ম্যাৎসিনি ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে জোনোয়াতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মূলত চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করলেও দার্শনিক এবং বাগ্নি হিসাবেও তিনি সুপরিচিত। ইতালিকে মুক্ত করার কথা তিনি যৌবনকাল থেকেই ভেবেছেন। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহে তিনি নিজে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের জন্য সেনাবাহিনীর মনে উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। ১৮৪৮-এর ফেব্রুয়ারি বিপ্লব এবং ম্যাৎসিনি : ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে আবার ফেব্রুয়ারি বিপ্লব আরম্ভ হয়। এই প্রসঙ্গে সময় অস্ট্রিয়ার প্রিন্স: মেটারনিক বলেছিলেন যে, ফ্রান্সের সর্দি হলে সার...

নেপোলিয়নকে বিপ্লবের সন্তান বলা হয় কেন?

নেপোলিয়নকে বিপ্লবের সন্তান বলা হয় কেন - ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন যে সব অভ্যন্তরীণ সংস্কার প্রবর্তন করেছিলেন সে সম্বন্ধে ঐতিহাসিক মহলে বিতর্ক আছে। ফিলিপ ওয়েদালা-এর মতে, নেপোলিয়নের সাম্রাজ্য স্থাপন এবং সংস্কারকে বিপ্লবের প্রসার বলা যেতে পারে। আবার অন্যদিকে যেহেতু নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভ সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে ঘটেছিল সেহেতু তাঁর শাসনকাল প্রকৃতপক্ষে বিপ্লবকে বাংলাই করেছিল। নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের পর ফ্রান্স আবার বিপ্লব পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে গিয়েছিল। নেপোলিয়নের নিজের কথাতেও অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। তিনি নিজেকে একবার বিপ্লবের সন্তান বলেছেন: আবার আরেকবার নিজেকে বিপ্লবের ধ্বংসকারী বলেছেন। সুতরাং তাঁর নিজের উক্তির মধ্যেই অসংগতি রয়েছে। ঐতিহাসিক ফিসারের মন্তব্য অনুযায়ী বিপ্লবের সময়কার সামাজিক আলোড়ন সমান অধিকার এবং সমান সুযোগের দাবী নেপোলিয়নের উত্থানকে সাহায্য করেছিল যা তার সংস্কারের মধ্যেই সমর্থিত হয়েছে। প্রথমত, বিপ্লবের সময়কার ভূমি সংক্রান্ত সংস্কারগুলিকে নেপোলিয়ন মেনে নিয়েছিলেন। পাশাপাশি সাম্য নীতির কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য মেলে নিয়েছিলেন। রাজতন্ত্রীদের অভিজ্ঞতা এবং অভিজাত শ্রেণ...

গান্ধীজীর চিন্তাধারার মূল বৈশিষ্ট্য | গান্ধীর রাজনৈতিক দর্শনের মূল সূত্র

গান্ধীজীর চিন্তাধারার মূল বৈশিষ্ট্য | গান্ধীর রাজনৈতিক দর্শনের মূল সূত্র ভূমিকা: পরাধীন ভারতবর্ষের সাম্রাজ্যবাদবিরােধী আন্দোলনের শুকতারা', ভারতীয় জাতীয় মানসে জাতির জনক আখ্যায় ভূষিত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রদূত নির্ভীক কণ্ঠ, সত্যনিষ্ঠ, অদম্য মনােবলসম্পন্ন, ত্যাগ স্বীকারে নিরলস, সত্য, ন্যায় এবং অহিংসার মূর্ত প্রতীক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (১৮৬৯-১৯৪৮ খ্রি.) প্লেটো, অ্যারিস্টটল বা হেগেলের মতে রাষ্ট্র দার্শনিক ছিলেন না। গান্ধিজি কোনাে রাজনৈতিক দর্শন বা মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাননি। গান্ধীবাদ: গান্ধিজি নিজেই লিখেছেন, গান্ধীবাদ বলে কিছু নেই। কোনাে মৌলিক দর্শন বা নীতির স্রষ্টা হিসেবে আমি কিছু দাবি করি না। আমি কেবল আমার নিজের মতাে করে দৈনন্দিন জীবন ও সমস্যাবলির ক্ষেত্রে শাশ্বত সত্যকে প্রয়ােগ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। 'The Story of My Experiments with Truth' শীর্ষক রচনায় তিনি নিজেই লিখেছেন, আমার সমস্ত চিন্তা, দর্শন যা আমি বলেছি, তাকে আর যাই হােক গান্ধীবাদ বলে অভিহিত না করাই ভালাে। হরিজন পত্রিকায় তিনি লিখেছেন, 'I am not built for academic writings. Action is domain'। ...

সনদ আইন (1813) | সনদ আইনের উদ্দেশ্য | সনদ আইনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো

সনদ আইন (1813) | সনদ আইনের উদ্দেশ্য | সনদ আইনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো উত্তর: সনদ আইন (1813) ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে পাশ্চাত্য বণিকরা এদেশে আসার পরে মিশনারীরা এদেশে আসেন খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। মিশনারীরা দেশীয় ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করে খ্রিস্ট ধর্মের বাণী ও পাশ্চাত্য জ্ঞানের প্রচার করা শুরু করেন দেশের জনসাধারণের মধ্যে। 1765 খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে। তবে ইংরেজরা মূলত ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে শিক্ষার বিস্তার ঘটানাের চেষ্টা চালায়। এই সময়ে ভারতবর্ষের শিক্ষার দায়িত্ব কোম্পানি গ্রহণ করবেন কিনা সে বিষয়ে কোম্পানির ডিরেক্টর এবং ভারতবর্ষে নিযুক্ত কোম্পানির আধিকারিকদের মধ্যে একটি মতপার্থক্য দেখা যায়। 1811 খ্রিস্টাব্দে গভর্নর জেনারেল লর্ড মিন্টো আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সরকার যদি শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থ ব্যয় না করে তাহলে এদেশে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা লােপ পাবে। কোম্পানির এই শিক্ষা সম্বন্ধে ঔদাসীন্য ইংল্যান্ডের শিক্ষিত সমাজ এবং ভারতে আগত খ্রিস্টান মিশনারীদের দ্বারা তীব্রভাবে সমালােচনার সম্মুখীন হয়। 1813 খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির স...