তথ্যের অধিকার আইন ২০০৫

ভারতের আরটিআই আইন (RTI Act) কী? এটির গুরুত্ব কী? এটি কীভাবে ব্যবহার করা সম্ভব?
RTI Act অর্থাৎ Right to Information Act, 2005 বা তথ্য জানার অধিকার আইন, ২০০৫ ।

সংসদের দ্বারা গৃহীত এটি একটি আইন, যাতে নাগরিকগণ লোক-কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের অধীনে থাকা তথ্য যাতে সহজে লাভ করতে পারে তারবাবে ব্যবহারিক পদ্ধতি এটা প্রবর্তন করা হয়েছে। এই আইনটি জম্মু এবং কাশ্মীর বাদে ভারতের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে প্রযোজ্য। তথ্য জানার অধিকার সংক্রান্ত জম্মু এবং কাশ্মীরের 'জম্মু এবং কাশ্মীর তথ্য জানার অধিকার, ২০০৯' শীর্ষক একটি নিজ আইন আছে। এই আইনের অধীনে নাগরিকগণ লোক-কর্তৃপক্ষর (সহজ অর্থে, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভাগসমূহ, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক, বীমা প্রতিষ্ঠান, সরকারী পুঁজি লাভ করা বেসরকারী সংস্থা আদির) নিয়ন্ত্রণের অধীনে থাকা তথ্য নির্দিষ্ট মাসুলের বিনিময়ে জানতে পারে। এই আইনটি ২০০৫ সালের ১৫ জুন সংসদে গৃহীত হয়েছিল এবং সেই বছরে ১৩ অক্টোবর থেকে পূর্ণ কার্যকরী হয়েছিল।'সরকারী গোপনীয়তা আইন, ১৯২৩' (Official Secrets Act 1923)এবং এরকম কয়েকটি আইন নাগরিকের তথ্য লাভ করার ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছিল, সেসব 'তথ্য জানার অধিকার আইন, ২০০৫' নাকচ করে দেয়।

★ তথ্য জানার অধিকার আইন কেন?

ভারতীয় সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদ দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের মত প্রকাশের অধিকারকে সুনিশ্চিত করে। তথ্য জানার অধিকারও এই ধারার মধ্যে পড়ে বলে সুপ্রিম কোর্ট মনে করে। একে বাস্তবে প্রয়োগ করতে তৈরি হয় তথ্যের অধিকার আইন (আরটিআই) ২০০৫। এই অধিকার দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে নাগরিকদের হাত শক্ত করে। বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁদের অংশগ্রহণের ক্ষমতা তৈরি করে দেয়। সমস্ত সরকারি তথ্যকে যাচাই করে তাঁরা জানতে পারেন, যাদের ভোট দিয়ে সরকারে পাঠিয়েছিলেন তাঁরা ঠিকমতো কাজ করছেন কিনা। আরটিআইকে হাতিয়ার করে দেশের এক জন নাগরিক দর্শক থেকে প্রশাসন প্রক্রিয়ায় এক জন সংক্রিয় অংশগ্রহণকারী হতে পারেন। এই আইন বলে এক জন নাগরিক দেশের সমস্ত সরকারি দফতরের তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। শুধু জম্মু-কাশ্মীর ছাড়া সারা দেশেই এই আইন প্রযোজ্য।

★ তথ্য কিভাবে যাচাই করা যায় ?

তথ্য জানার অধিকার আইন, ২০০৫এর অধীনে প্রত্যেকটি সরকারী কার্যালয়ে, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক এবং বীমা প্রতিষ্ঠানে একজন 'লোক তথ্য কর্মী' নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রদানের কাজ-কর্ম এই বিষয়ক কর্মী দেখাশুনা করেন। নাগরিকের যেকোনো তথ্য যাচাইয়ের জন্য 'লোক তথ্য কর্মী'র কাছে আবেদন করতে হয়। আবেদন নিষ্পত্তিকরণের সময়সীমা ৩০দিন। অবশ্য আবেদনের বিষয় যদি কোনো ব্যক্তির জীবন বা স্বত্ব সম্পর্কীত হয়, তবে তথ্য ৪৮ঘণ্টার ভিতর যোগান দিতে হয়।

যদি নির্দিষ্ট সময়সীমার ভিতর 'লোক তথ্য কর্মী' আবেদনকারীর অনুরোধ রক্ষা না করে বা 'লোক তথ্য কর্মী' ভুল তথ্য দিয়ে বা তথ্য যোগান বাবদ হওয়া খরচের হিসাবের ক্ষেত্রে আবেদনকারী সন্তুষ্ট না হয়, তবে এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের সুযোগ :

আইটিআই আইন ২০০৫-এর সেকশন ২(জে)-এ তথ্যের অধিকার মানে সমস্ত কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি কর্তৃপক্ষের (পাবলিক অথরিটি) তথ্য জানার অধিকার। এর মধ্যে পড়ছে:

কাজ, তথ্য এবং রেকর্ডস দেখার অধিকার। (তথ্য কী ? -রেকর্ড, নথি, মেমো, ই-মেল, মতামত,পরামর্শ,প্রেস রিলিজ, বিজ্ঞপ্তি,নির্দেশ,লগবুক,চুক্তি,রির্পোট,দলিল-দস্তাবেজ,নমুনা,মডেল,তথ্য যেগুলি ইলেকট্রনিক মোডে ধরা আছে, আপাত বলবৎ কোনও আইনে পাবলিক অথরিটির নেওয়া কোনও বেসরকারি সংস্থার তথ্য)
প্রত্যায়িত নমুনা গ্রহণ
ফ্লপি, টেপ, ভিডিও ক্যাসেট বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অথবা প্রিন্ট আউট করে কমপিউটারে রাখা তথ্য সংগ্রহণ করা যাবে।
★কোন তথ্য প্রকাশযোগ্য নয় ?

এক জন নাগরিককে নিম্নলিখিত তথ্যগুলি দেওয়া হবে না যদি তিনি তথ্য আধিকারিককে বোঝাতে সক্ষম না হন যে, প্রকাশিত তথ্য জনস্বার্থে কাজে লাগবে ( এ ক্ষেত্রে আংশিক তথ্য দেওয়া যেতে পারে যার মধ্যে অপ্রকাশযোগ্য কোনও তথ্য থাকবে না )

দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বিঘ্নিত হয় এমন তথ্য, যে তথ্য প্রকাশ করলে বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে ব্যাঘাত ঘটে, অপরাধের উস্কানিতে সাহায্য করে, দেশের অর্থনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক স্বার্থ বিঘ্নিত হয়, সেই ধরনের কোনও তথ্য
আদালত বা ট্রাইব্যুনালের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা কোনও তথ্য বা এমন তথ্য যা প্রকাশ করলে আদালতের অবমাননা হবে
সংসদ বা রাজ্য বিধানসভার অধিকার ভঙ্গ হতে পারে এমন কোনও তথ্য
বাণিজ্যিক গোপন বিষয়, ব্যবসায়িক গোপন কৌশল বা বুদ্ধিগত সম্পত্তি যার প্রকাশ তৃতীয় পক্ষের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের ক্ষতি করবে, যদি না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে বৃহত্তর জনস্বার্থে এই তথ্যের প্রকাশ প্রয়োজন
কোনও ব্যক্তির আস্থাভাজন সম্পর্ক সূত্রে পাওয়া তথ্য, যদি না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে বৃহত্তর জনস্বার্থে এই তথ্যের প্রকাশ প্রয়োজন
বিদেশি সরকারের কাছ থেকে পাওয়া গোপন তথ্য
এমন কোনও তথ্য যা প্রকাশ করলে কোনও ব্যক্তির শারীরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বা নিরাপত্তা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে দেওয়া কোনও সূত্র বা তথ্য
যে তথ্য প্রকাশের ফলে অপরাধীদের সম্পর্কে অনুসন্ধান, গ্রেফতারি বা মামলা রুজু করা বিঘ্নিত হবে
মন্ত্রিপরিষদ, সচিব ও অন্য আধিকারিকদের আলোচনার নথিসহ মন্ত্রিসভার কাগজপত্র
ব্যক্তিগত তথ্য, যার সঙ্গে জনসাধারণের কার্যকলাপ বা আগ্রহের কোনও সম্পর্ক নেই বা ব্যক্তির গোপনীয়তায় অনধিকার হস্তক্ষেপ করা হবে, যদি না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে বৃহত্তর জনস্বার্থে এই তথ্যের প্রকাশ প্রয়োজন।
★ কি ভাবে এই আইন প্ৰয়োগ করবো ?

যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয় নাগরিক তথ্যের অধিকার আইনে তথ্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

◆তথ্যের জন্য আবেদন :-

আপনি হাতে লিখে বা টাইপ করে যে কোনও পাবলিক অথরিটির (সরকারি প্রতিষ্ঠান বা অনুদান প্রাপ্ত) কাছে তথ্য অধিকার আইন ২০০৫-এর অধীনে তথ্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্র আইএনডিজি সাইট থেকেও ডাউনলোড করতে পারেন (পিডিএফ ফাইল)।

হিন্দি, ইংরিজি অথবা স্থানীয় ভাষায় আবেদন করতে পারেন।

আবেদনপত্রে নিম্নলিখিত তথ্যগুলি থাকবে :

১. অ্যাসিট্যান্ট পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার (সংক্ষেপে এপিআইও)/পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার (পিআইও)-র নাম ও ঠিকানা

২. বিষয়: তথ্যের অধিকার আইন ২০০৫-এ ৬(১) ধারা অনুসারে আবেদন

৩. কোন বিষয়ে তথ্য চাইছেন

৪. আবদেনকারীর নাম

৫. বাবা/স্বামীর নাম

৬. এসসি/এসটি/ওবিসি

৭. আবেদনপত্রের ফি

৮. বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবার-হ্যাঁ/না

৯. ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ই-মেল (ই-মেল এবং মোবাইল নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়)

১০. স্থান এবং তারিখ

১১. আবেদনকারীর স্বাক্ষর

১২. আবেদনের সঙ্গে অন্য যে কাগজ দেওয়া হয়েছে তার তালিকা

প্রথম আপিল আবেদন

আরটিআই আইন ২০০৫-এ প্রথম আপিল আবেদন জমা দেওয়া সংক্রান্ত পরামর্শ

১. কখন আপিল আবেদন জমা দিতে হবে
তথ্য আধিকারিক (পিআইও) আপনার আবেদন বাতিল করলে সিদ্ধান্ত জানার দিন থেকে তিরিশ দিনের মধ্যে প্রথম আপিল কর্তৃপক্ষের (সংক্ষেপে এফএএ)-র কাছে আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার তিরিশ দিনের মধ্যে যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে অক্ষম হয়, সিপিআইও (এসিপিআইও)-এর কাছ থেকে আবেদন করার তিরিশ দিনের মধ্যে যদি কোনও উত্তর না আসে (এসিপিআইও কাছ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে), তবে সেই তিরিশ দিন পর থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রথম আপিল করতে হবে
যদি আবেদন জমা নেওয়ার জন্য কোনও সহকারী জন তথ্য আধিকারিক/ জন তথ্য আধিকারিক না থাকে
২. এ ক্ষেত্রে কাকে আবেদন করতে হবে
সিপিআইও-র দেওয়া সিদ্ধান্তের চিঠি থেকে প্রথম আপিলের জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের নাম, ঠিকানা ও পদ জানা যাবে। যদি চিঠি না পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির ওয়েবসাইটের আরটিআই বিভাগে গিয়ে তথ্য জানা যাবে
উপরোক্ত প্রচষ্টা সত্ত্বেও যদি আপনি প্রথম আপিল কর্তৃপক্ষের ঠিকানা জানতে সক্ষম না হন তবে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে আবেদন করুনতথ্যের অধিকার আইন ২০০৫-এর অধীনে ,প্রথম আপিল কর্তৃপক্ষ, প্রযত্নে ___________________________, প্রধান__________________ বিভাগ/ অফিস, সিপিআইও অফিসের ঠিকানা
আপিলের শুনানিতে যদি উপস্থিত থাকতে চান তবে আপিলের শেষে তা উল্লেখ করুন
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন কোনও সংস্থার ক্ষেত্রে প্রথম আপিলে কোনও ফি দিতে হয় না। তবে কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে ফি এবং নির্দিষ্ট আবেদনপত্র আছে। রাজ্য সরকারের অধীন কোনও সংস্থার এ সংক্রান্ত বিষয় জানার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আরটিআই আইন দেখুন।
আপিলের সঙ্গে দেওয়া সমস্ত কাগজপত্রের ফটোকপিতে ‘প্রত্যায়িত বা অ্যাটাসটেড’ শব্দটি লিখে তার নীচে স্বাক্ষর করতে হবে
আপিলের কপি এবং পোস্টাল রসিদ রেখে দিন। অবশ্য আবেদন আপনি নিজে জমা দিতে পারেন। তবে স্পিড পোস্ট বা রেজিস্ট্রি করে পাঠানোকেই অগ্রাধিকার দিন। তবে কুরিয়ার করে না পাঠানোই বাঞ্ছনীয়।
তিরিশ দিনের মধ্যে আসা আপিলকেই প্রথম আপিল কর্তৃপক্ষ (সংক্ষেপে এফএএ) বিবেচনা করবেন। তবে ১৫ দিন বাড়তি সময় নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেরির কারণ উল্লেখ করতে হবে। এফএএ লিখিত অথবা মৌখিক আদেশ দিতে পারেন।
দ্বিতীয় আপিল আবেদন

দ্বিতীয় আপিল আবেদন জমা দেওয়া সংক্রান্ত পরামর্শ

১. কখন দ্বিতীয় আপিল জমা দেবেন
প্রথম অ্যাপিলিয়েট আধিকারিকের সিন্ধান্তে সন্তুষ্ট না হলে
যদি সংস্থাটির সরবরাহ করা তথ্য ভুল এবং বিভ্রান্তিকর হয়
অনলাইনে আবেদন

যখন আপনি কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে তথ্য চান (দ্বিতীয় আপিলের ক্ষেত্রেও) তখন আপনাকে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (সিআইসি) কাছে আবেদন করতে হবে। কখন আপনি সিআইসি-কে অনলাইনে অভিযোগ জানাতে পারবেন যখন কোনও কেন্দ্রীয় জন তথ্য আধিকারিক না থাকার জন্য আপনি আবেদন জমা দিতে পারছেন না অথবা কেন্দ্রীয় সহকারী জন তথ্য আধিকারিক আপনার আবেদন নিতে অস্বীকার করছেন বা এই আইন অনুযায়ী আপনার আপিলকে কেন্দ্রীয় জন তথ্যে পাঠানো হচ্ছে না সেক্ষেত্রে।

অভিযোগের অবস্থান জানতে ক্লিক করুন : Know Your Status

আরটিআইআবেদনের খসড়া করা: Request Form for Information

অনলাইনে আরটিআই আবেদন

আরটিআই আইনে তথ্য পেতে গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক/বিভাগ/দফতরে আবেদন করতে হবে। এই তথ্য সরবরাহের জন্য প্রতিটি সরকারি সংস্থা একজন করে অধিকারিক নিয়োগ করে, যিনি আবেদন অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করে থাকেন।

বর্তমানে অনলাইনেও আরটিআই-এর আবেদন করা যায়। আবেদন করার জন্য নীচে একটি ওয়েব লিঙ্ক দেওয়া হল। তবে মনে রাখতে হবে, এই লিঙ্কে শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকরাই কেন্দ্রীয় সরকারের দিল্লিস্থিত কোনও প্রধান মন্ত্রক বা দফতরে আবেদন/প্রথম আপিল করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটটি ভারত সরকারের কর্মী এবং প্রশিক্ষণ দফতরের উদ্যোগ।

অধিক জানকারির জন্যে https://rtionline.gov.in

পদ্ধতির কয়েকটি ধাপ

১। “SIGN UP HERE”-এ ক্লিক করে প্রথমে আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে (এটি ওয়েবসাইটের নীচে ডান দিকে পাওয়া যাবে)।
২। ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সাইন ইন করতে হবে।
৩। লগইন করার পর ওয়েবসাইটে উপরের ডান দিকে “SUBMIT REQUEST” অপশন পাবেন। আইটিআই-এর আবেদন করার জন্য “SUBMIT REQUEST”-এ ক্লিক করতে হবে।
৪। এখানে আপনি আরটিআই-এর নির্দেশিকা পাবেন। পুরো নির্দেশিকাটা পড়ে “I HAVE READ AND UNDERSTOOD THE ABOVE GUIDELINES”-এ টিক দিতে হবে। এর পর সেটি ‘Submit’ করতে হবে।
৫। এর পর আপনি একটি অনলাইন আরটিআই আবেদনপত্র পাবেন। সেখানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে উল্লেখ করতে হবে।
ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে মন্ত্রক/বিভাগ/ শীর্ষ কমিটি নির্বাচন করতে হবে।
আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে।
আপনি সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কী কী তথ্য চাইছেন তা নির্দিষ্ট করতে হবে।
৬। আরটিআই-এ আবেদন করতে গেলে ১০ টাকা ফি জমা দিতে হয়। তবে ২০১২-এর আরটিআই বিধি অনুযায়ী দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারীদের কোনও ফি লাগে না। ‘‘Is the Applicant Below Poverty Line ?’’ (আবেদনকারী কি দারিদ্র্যসীমার নীচে?) এই প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তবে আপনাকে ‘Yes’ (হ্যাঁ) তে ক্লিক করতে হবে। এই বিভাগে যিনি আবেদন করছেন তাঁকে তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে বিপিএল কার্ড শংসাপত্র আপলোড করতে হবে। এর পর সেটি ‘Submit’ করতে হবে।
৭। বিপিএল তালিকাভুক্ত নন যারা, তাঁরা স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বা এর সহযোগী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ১০ টাকা জমা দিতে পারবেন। অথবা ভিসা বা মাস্টার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডেও অনলাইনে টাকা জমা দিতে পারবেন। ফি জমা দেওয়ার পরই আবদেন জমা দেওয়া যাবে।
৮। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়া যাবে। এই নম্বটি ভবিষ্যতে আরটিই সংক্রান্ত যে কোনও প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে। আবেদন জমা দেওয়ার পর ই-মেলে বার্তা অথবা এসএমএস-ও পাওয়া যাবে।
আবেদন করার ৩০দিন পর সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে তথ্য পাওয়া যাবে। আপনার আবেদনটি কী অবস্থায় রয়েছে উপরে উল্লিখিত ওয়েবসাইটের একবারে মাথায় “VIEW STATUS” –এ ক্লিক করে জানতে পারবেন।

এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আরটিআই-এর প্রথম আপিলের আবেদনও করা যাবে। সাইটের উপরে “SUBMIT FIRST

Comments