Posts

Showing posts from October, 2024

প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন প্রতিক্রিয়ার ব্যবহার লেখো।Nature/Characteristics of Classical Conditioning . Educational implications of Classical Conditioning.

প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন প্রতিক্রিয়ার ব্যবহার লেখো।Nature/Characteristics of Classical Conditioning . Educational implications of Classical Conditioning. Nature/Characteristics of Classical Conditioning  প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য  শারীরতত্ত্ববিদ আইভান প্যাভলভ (Ivan Pavlov) প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বের প্রবক্তা । ( আগের প্রশ্নে আমরা প্রাচীন অনুবর্তন কাকে বলে ? এই তত্ত্বের পরীক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করেছি ) তাই এখন আলোচনা করা হবে প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে -  1. অনুবর্তিত উদ্দীপকের উপস্থাপন : যে উদ্দীপকটিকে অনুবর্তিত করতে হবে ,সেই উদ্দীপকটিকে স্বাভাবিক উদ্দীপকের আগে উপস্থিত করতে হবে। এই কারণে প্যাভলভের পরীক্ষায় ক্ষুধার্ত কুকুরকে খাবার দেওয়ার আগে ঘন্টার্ধ্বনী শোনানো হয়েছিল ।  2. স্বাভাবিক উদ্দীপকের কার্যকারিতা : স্বাভাবিক উদ্দীপকের শক্তি অনুবর্তিত উদ্দীপকের বেশি হয়, যা প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য।যেমন : কুকুরের লালাক্ষরণের ক্ষেত্রে খাদ্যবস্তু ঘণ্টাধ্বনির থেকে বেশি শক্তশালী উদ্দীপক । 3. উদ্দীপক দুটির পর্যায়ক...

শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক | Relation Between Education and Sociology

শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক | Relation Between Education and Sociology সমাজ বিজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষার একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সমাজ বিজ্ঞান এবং শিক্ষা এ অপরের পরিপূরক। সমাজ পরিবর্তনশীল এই পরিবর্তনশীল সমাজের সঙ্গে ব্যক্তিকে অভিযোজনেকের সহায়তা করে শিক্ষা। বর্তমান শিক্ষার হাত ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্রম উন্নয়নের ফলে সমাজের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটেছে। সুতরাং, সমাজের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, নিয়ন্ত্রণ,গতিশীলতা এই সমস্ত কিছু জন্য শিক্ষার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আধুনিক শিক্ষাবিজ্ঞানের কাজ হল ব্যক্তিকে তার পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতি বিধানের সাহায্য করা। শিক্ষার মূল লক্ষ্য হল ব্যক্তির অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাগুলির পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন করা। শিক্ষা পরিকাঠামো, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে। 1) সমাজবিজ্ঞান ও শিক্ষার লক্ষ্য: আধুনিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হল, প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে সমাজের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। শিক্ষার এই লক্ষ্য বিশেষ ভাবে সমাজবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। বৰ্তমান শিক্ষার লক্ষ্য শুধুমাত্র শিক্ষার্থীকে জ্ঞান সরবরাহ করা নয়। শি...

শিক্ষাশ্রয়ী সমাজতত্ত্বের ধারণা, প্রকৃতি, পরিধি, কার্যাবলী ও গুরুত্ব আলোচনা করো।

১. শিক্ষাশ্রয়ী সমাজতত্ত্বের ধারণা : -  শিক্ষা বিজ্ঞান হলো সমাজ পরিবেশের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে একজন শিক্ষার্থীর সুস্থ ও সঠিকভাবে মানিয়ে চলার প্রক্রিয়া। এই সামাজিক পরিবেশেরই একটি প্রধান উপাদান হলো মানুষ। সমাজের মধ্যে প্রত্যেকটি মানুষ পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে উপলব্ধি করতে শেখে এবং সেই উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে তার বোধের বিকাশ হয়। সমাজ এবং ব্যক্তির পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি নির্দিষ্ট বিষয়সূচি এবং বিষয়জ্ঞান , যাকে বলা হয় শিক্ষাশ্রয়ী সমাজতত্ত্ব ( Educational Sociology ) । শিক্ষাবিজ্ঞান এবং সমাজতত্ত্ব দুটি পৃথক বিষয়। তবে আধুনিক সমাজতাত্ত্বিকদের সকলেই যে শিক্ষার সমাজতত্ত্ব আর শিক্ষাশ্রয়ী সমাজতত্ত্বের পার্থক্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন তা নয়। যারা দুটি বিষয়কে পৃথক বলে মনে করেন , তারা পার্থক্য নির্দেশ করেছেন শুধুমাত্র গুরুত্বের ভিত্তিতে।  শিক্ষা ও সমাজতত্ত্ব মিলিতভাবে যে বিদ্যা চর্চার সূচনা করেছিল উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে তার তিনটি ভিন্ন অভিমুখ দেখা যায় তিনটি ভিন্ন নামে , -  (i) শিক্ষার সমাজতাত্ত্বিক ভিত্তি ( Sociological Foundation of Education ...