ভারতীয় উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
ভারতীয় উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
ভারতীয় উপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রভাব:
ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রভাবগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়- ইতিবাচক, নেতিবাচক এবং ঔপনিবেশিক বিরোধিতার সূচনা।
(ক) ইতিবাচক প্রভাব:
ইতিবাচক প্রভাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
(1) প্রাথমিক থেকে উচ্চতম স্তর পর্যন্ত শিক্ষার ব্যবস্থা, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের শিক্ষায় প্রবেশাধিকার
(2) নারীশিক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষণ, বৃত্তি এবং কারিগরি শিক্ষা
(3) মেধা বৃত্তি।
(4) সুগঠিত শিক্ষা বিভাগ এবং পরিবর্তন ব্যবস্থা।
(5) জনসাধারণের মধ্যে একটি অংশকে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করা।
(6) শিক্ষায় পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করা এবং তাদের কোনো কোনো ইতিবাচক সুপারিশকে কার্যকরী করা ইত্যাদি।
(খ) নেতিবাচক প্রভাব:
নেতিবাচক প্রভাবগুলির মধ্যে অন্যতম হল-
1) স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন এবং বাধ্যতামূলক করা হয়নি। নিরক্ষরতা দূরীকরণে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
2) ভারতবর্ষের সম্পদ ভারতীয় জনগণের শিক্ষাসহ অন্যান্য উন্নয়নের কাজে ব্যয় না করে নিজেদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধিতে ব্যয় করা।
(3) চাহিদা অনুযায়ী বৃত্তি ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো হয়নি।
(4) শিক্ষার প্রসারে চুঁইয়ে পড়া নীতি প্রয়োগ।
(5) ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি রক্ষার জন্য কোনো ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়নি।
(6) প্রাথমিক শিক্ষাকে দুর্বল রেখে মাধ্যমিক শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষার প্রতি গুরুত্বদান।
(7) শিক্ষার মাধ্যমে আর্থিক বৈষম্য দূর করার কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়নি ইত্যাদি।
Comments
Post a Comment