সংবিধানের ষষ্ঠ তপশিলের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও
সংবিধানের ষষ্ঠ তপশিলের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও
ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল উত্তর-পূর্ব ভারতের চারটি রাজ্য আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের উপজাতি অঞ্চলগুলির প্রশাসন সম্পর্কে বিধান করে। এই তফসিলটি এই অঞ্চলগুলির উপজাতি জনগোষ্ঠীকে তাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও রীতিনীতি রক্ষার জন্য স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে।
ষষ্ঠ তফসিলের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ (Autonomous District Councils):
এই তফসিলের অধীনে, প্রতিটি উপজাতি অঞ্চলে একটি স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ গঠন করা হয়।
এই পরিষদগুলির আইন প্রণয়ন, বিচার এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা রয়েছে।
তারা জমি, বন, জল, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর আইন তৈরি করতে পারে।
আঞ্চলিক পরিষদ (Regional Councils):
যদি কোনও জেলা পরিষদে একাধিক উপজাতি থাকে, তবে প্রতিটি উপজাতির জন্য একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা যেতে পারে।©shikshakuthir
রাজ্যপালের ভূমিকা:
রাজ্যপাল জেলা পরিষদগুলির কাজকর্ম তত্ত্বাবধান করেন এবং তাদের প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
রাজ্যপাল জেলা পরিষদগুলির সীমানা পরিবর্তন করতে পারেন বা তাদের বিলুপ্ত করতে পারেন।
আইন প্রণয়ন ক্ষমতা:
জেলা পরিষদগুলি তাদের এখতিয়ারের মধ্যে থাকা বিষয়গুলির উপর আইন প্রণয়ন করতে পারে।
তবে, এই আইনগুলি সংবিধানের মৌলিক অধিকারগুলির পরিপন্থী হতে পারে না।
বিচার ক্ষমতা:
জেলা পরিষদগুলি তাদের এখতিয়ারের মধ্যে থাকা দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাগুলির বিচার করতে পারে।©shikshakuthir
অর্থনৈতিক ক্ষমতা:
*জেলা পরিষদগুলি তাদের এখতিয়ারের মধ্যে থাকা রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারে এবং উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করতে পারে।©shikshakuthir
তফসিলের উদ্দেশ্য হল:
উপজাতি জনগোষ্ঠীকে তাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও রীতিনীতি রক্ষা করতে সাহায্য করা।
তাদের নিজস্ব উন্নয়নের জন্য স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা।
*উত্তর-পূর্ব ভারতের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
এই তফসিলটি উত্তর-পূর্ব ভারতের উপজাতি অঞ্চলগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থা।©shikshakuthir
Comments
Post a Comment