প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর
প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর
প্রাচীন ভারতে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বৈদিক যুগ থেকে শুরু করে গুপ্ত যুগ পর্যন্ত ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাকাশের বিভিন্ন রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
বৈদিক যুগ:
- বৈদিক যুগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণাগুলি ঋগ্বেদ এবং অন্যান্য বৈদিক গ্রন্থে পাওয়া যায়।©shikshakuthir
- এই সময়ে, ঋতু, চন্দ্র ও সূর্যের গতিবিধি এবং নক্ষত্রমণ্ডলের ধারণাগুলি তৈরি হয়েছিল।
- "বেদাঙ্গ জ্যোতিষ" নামে একটি প্রাচীন গ্রন্থ এই সময়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের জ্ঞানকে প্রতিফলিত করে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগ:
- গুপ্ত যুগে (চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতাব্দী) ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান তার স্বর্ণযুগে পৌঁছায়।
- এই সময়ে, আর্যভট্ট, বরাহমিহির এবং ব্রহ্মগুপ্তের মতো মহান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবির্ভূত হন।
- আর্যভট্ট তার "আর্যভট্টীয়" গ্রন্থে পৃথিবী গোলাকার এবং এটি নিজ অক্ষের উপর ঘোরে, এই ধারণা দেন।©shikshakuthir
- তিনি সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের কারণও ব্যাখ্যা করেন।
- বরাহমিহিরের "পঞ্চসিদ্ধান্তিকা" এবং ব্রহ্মগুপ্তের "ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত" জ্যোতির্বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের অবদান:
- ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা শূন্যের ধারণা এবং দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বিকাশে অবদান রেখেছেন।
- তারা গ্রহের গতিবিধি, সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ এবং নক্ষত্রমণ্ডলের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক গণনা করতে সক্ষম ছিলেন।©shikshakuthir
- তাদের জ্ঞান ক্যালেন্ডার তৈরি এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের বিকাশে ব্যবহৃত হত।
প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞান শুধু তৎকালীন সময়ের জন্যই নয়, আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।©shikshakuthir
Comments
Post a Comment