"ইউরোপ রাষ্ট্রপ্রধান সভ্যতা, ভারতবর্ষ সমাজ প্রধান" -রবীন্দ্রনাথের বিশ্লেষণে এই কথার তাৎপর্য লিখুন|
"ইউরোপ রাষ্ট্রপ্রধান সভ্যতা, ভারতবর্ষ সমাজ প্রধান" -রবীন্দ্রনাথের বিশ্লেষণে এই কথার তাৎপর্য লিখুন|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই উক্তিটি ইউরোপীয় এবং ভারতীয় সভ্যতার মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য তুলে ধরে। তিনি ইউরোপীয় সভ্যতাকে "রাষ্ট্রপ্রধান" এবং ভারতীয় সভ্যতাকে "সমাজপ্রধান" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এই বিশ্লেষণের তাৎপর্য নিম্নরূপ:
ইউরোপীয় সভ্যতা (রাষ্ট্রপ্রধান):
ইউরোপের ইতিহাসে, রাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি সমাজের গঠনে এবং পরিচালনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে।©shikshakuthir
আইন, সরকার এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা সমাজের কাঠামো নির্ধারণ করে।
ব্যক্তির অধিকার এবং কর্তব্য রাষ্ট্রের আইনের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত হয়।©shikshakuthir
ইউরোপের রাষ্ট্রগুলি শক্তিশালী, কেন্দ্রীভূত এবং প্রায়শই সাম্রাজ্যবাদী ছিল।
ভারতীয় সভ্যতা (সমাজপ্রধান):
ভারতীয় সমাজে, সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি, যেমন জাতি, পরিবার এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়, সমাজের গঠনে এবং পরিচালনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে।
সামাজিক নিয়ম, ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় বিশ্বাসগুলি সমাজের কাঠামো নির্ধারণ করে।
ব্যক্তির পরিচয় এবং কর্তব্য সামাজিক গোষ্ঠীর সদস্যতার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত হয়।©shikshakuthir
ভারতের সমাজগুলি ছিল জটিল, বিকেন্দ্রীভূত এবং প্রায়শই বহুসংস্কৃতির।
রবীন্দ্রনাথের এই বিশ্লেষণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
সামাজিক কাঠামো: তিনি ইউরোপীয় সমাজের তুলনায় ভারতীয় সমাজের গভীর সামাজিক কাঠামোর উপর জোর দিয়েছেন।
ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্ক: তিনি দেখিয়েছেন যে ইউরোপে ব্যক্তি রাষ্ট্রের অধীন, যেখানে ভারতে ব্যক্তি সমাজের অধীন।©shikshakuthir
সাংস্কৃতিক পার্থক্য: তিনি ইউরোপীয় এবং ভারতীয় সংস্কৃতির মধ্যে মৌলিক পার্থক্য তুলে ধরেছেন।
রবীন্দ্রনাথের এই বিশ্লেষণ আজও প্রাসঙ্গিক। এটি আমাদের ইউরোপীয় এবং ভারতীয় সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করে এবং আমাদের নিজেদের সমাজের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে চিন্তা করতে উৎসাহিত করে।©shikshakuthir
Comments
Post a Comment