Posts

Showing posts from March, 2023

ইউরােপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

Image
ইউরােপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

ইউরোপের নবজাগরণ বলতে কী বোঝো? নবজাগরণের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব আলোচনা করো।

Image

দক্ষিণ ভারতের চোল শাসন ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

Image

হর্ষবর্ধনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা আলোচনা করো ।

Image

বাংলায় সেন বংশের শাসন -ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

Image

পাল বংশ ও বাংলায় পাল বংশের শাসন ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

Image

মগধের উত্থানের কারণ গুলি আলোচনা করো।

Image

ষোড়শ মহাজনপদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও II

Image

হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণগুলি আলােচনা করাে।

Image

হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনার বিবরণ দাও।

Image

আইনের উৎস গুলি আলোচনা করো

Image
আইনের উৎস গুলি আলোচনা করো

ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের সম্পর্ক সংক্ষেপে লেখো।

Image

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গী আলোচনা করো।

Image
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গী আলোচনা করো। 

রাষ্ট্রের প্রকৃতি সম্পর্কিত আদর্শবাদ বা ভাববাদ মতবাদ

Image
রাষ্ট্রের প্রকৃতি সম্পর্কিত আদর্শবাদ বা ভাববাদ মতবাদ

রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে সামাজিক চুক্তি মতবাদ আলােচনা করাে।

Image
রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে সামাজিক চুক্তি মতবাদ আলােচনা করাে।

সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তন কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্যগলি লেখাে।

Image
সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তন কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্যগলি লেখাে।

প্রাচীন অনুবর্তন কাকে বলে ? প্রাচীন অনুবর্তন কৌশলের বৈশিষ্ট্য লেখাে।

Image
প্রাচীন অনুবর্তন কাকে বলে ? প্রাচীন অনুবর্তন কৌশলের বৈশিষ্ট্য লেখাে।

উত্তর উপনিবেশবাদ

উত্তর উপনিবেশবাদঃ  ১৯৮০-র দশকে উত্থিত একটি বিশেষ তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ হল উত্তর উপনিবেশবাদ। আসলে এই দৃষ্টিকোণটি উপনিবেশবাদ প্রক্রিয়াকে নতুনভাবে অনুধাবনের একটি কৌশল। উত্তর উপনিবেশবাদী দৃষ্টিকোণের উত্থানের পূর্ব পর্যন্ত মার্কসবাদকেই উপনিবেশবাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রিটিক বলে মনে করা হত—যা পশ্চিমী উপনিবেশবাদী বিজয় অভিযানকে ব্যাখ্যা করেছিল পশ্চিমী শক্তিগুলির অর্থনৈতিক শোষণ এবং রাজনৈতিক দমনপীড়নের ভিত্তিতে। এই ভাবনাচিন্তা থেকেসরে এসে উত্তর উপনিবেশবাদী তাত্ত্বিকেরা উপনিবেশবাদী সাফল্যকে সাংস্কৃতিক আধিপত্য স্থাপনের একটি প্রয়াস হিসাবে ব্যাখ্যা করেন এবং যুক্তি দেন যে উপনিবেশবাদের টিকে থাকার কারণ তা এই যে, জনগণকে একটি বিশেষ অনুকুল সাংস্কৃতিক কাঠামোর মধ্যে পুনর্গঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। এই বিষয়টি বোঝাতে- এরা সক্ষম হন যে উপনিবেশকারী শক্তিটি উন্নততর এবং উপনিবেশকারীরা উপনিবেশায়িত মানুষের (অর্থাৎ যারা উপনিবেশবাদের শিকার সেইসব মানুষের হিতার্থেই তাদের শাসন করে। শুধু তাই নয়, প্রভুত্বকারী পশ্চিম প্রভৃত্বাধীন পূর্বের তুলনায় উন্নততর। উত্তর উপনিবেশবাদী তাত্ত্বিকেরা মনে করেন যে, পূর্বোক্ত উপনিবেশবাদী স...

সামাজিক কল্যানবাদ

সামাজিক কল্যানবাদ কেইনসের অর্থনীতির নির্দেশ অনুসরণের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি এফ. ডি. রুজভেল্টের 'নয়া ব্যবস্থা' (New Deal) কর্মসূচী রূপায়িত হয়। এই কর্মসূচী বেকারত্ব দূরীকরণ, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও রাজনৈতিক স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে আশা সঞ্চার করে। এর প্রেক্ষিতে মুক্ত বাজার পদ্ধতির পরিবর্তে সক্রিয় রাষ্ট্র ও মিশ্র অর্থনীতির পক্ষে জনমত গড়ে ওঠে। অবশ্যই সেক্ষেত্রে কিছু ব্যক্তিক্রমও লক্ষ করা যায়। গ্রেট ব্রিটেন ও পশ্চিম ইউরোপে সাধারণ স্রোতের বিরুদ্ধে ব্যতিক্রম রূপে উপস্থিত হন ফ্রিডরিল ভন হায়েক (১৮৯১–১৯৯২)। ১৯৪৪ সালে হায়েক-এর গ্রন্থ The Road to Serfdom প্রকাশিত হয়। ঐ গ্রন্থে তিনি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের সমালোচনা করেন। তিনি মনে করেন যে, রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ অবশ্যম্ভাবীরূপে স্বাধীনতাকে সংকুচিত করে। তাঁর এই গ্রন্থ গ্রেট বিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়দেশেই জনকল্যাণের সমর্থক ও কেইনসীয় অর্থনীতির বিরুদ্ধবাদীদের মধ্যে প্রবল ভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। জনকল্যাণব্রতী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হায়েকের আক্রমণ মূর্ত হয়ে ওঠে উইলিয়াম হেনরি বেভারিজ (১৮৭৯-১৯৬৩) কর্তৃক প্রস্তুত Report ...

রাষ্ট্রের আপেক্ষিক স্বাতন্ত্র্য বা স্বাধীনতা | রাষ্ট্রের আপেক্ষিক স্বাতন্ত্রের ধারণা

রাষ্ট্রের আপেক্ষিক স্বাতন্ত্র্য বা স্বাধীনতা | রাষ্ট্রের আপেক্ষিক স্বাতন্ত্রের ধারণা অস্তিত্বও অস্বীকার করা যায় না। বলা হয় যে, বনিয়াদ থেকে উপরি-কাঠামো আপেক্ষিকভাবে স্বাধীন। মার্কস আপেক্ষিক স্বাতন্ত্র্য এবং আভ্যন্তরীণ নির্ভরশীলতা ও বাহ্যিক স্বাধীনতার কথা বলেছেন। উপরি কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত কোন কোন উপাদান নির্দিষ্ট সামাজিক বনিয়াদের মধ্যে সৃষ্ট হয়েছে, অথচ পরবর্তীকালের সামাজিক বনিয়াদের মধ্যেও তার অস্তিত্বকে স্থায়ীভাবে বজায় রেখেছে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসাবে ধর্মীয় উপরি-কাঠামোর কথা বলা যায়। তেমনি আবার বনিয়াদ থেকে সৃষ্ট এমন সব উপাদান উপরি-কাঠামোর মধ্যে থাকে যা বনিয়াদের সঙ্গে বিরোধিতার সম্পর্কযুক্ত। ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানসমূহের ব্যক্তিগত মালিকানা স্বীকৃত। এই আর্থনীতিক বনিয়াদের থেকেই সৃষ্টি হয় পরস্পর বিরোধী রাজনীতিক ও মতাদর্শগত উপরি-কাঠামোর। পুঁজিবাদী সমাজের আর্থনীতিক বনিয়াদের উপর গড়ে উঠে বুর্জোয়া রাষ্ট্র, বুর্জোয়া মতাদর্শ ও অন্যান্য বুর্জোয়া উপরি-কাঠামো এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রলেতারীয় মতাদর্শ, প্রলেতারীয় রাজনীতিক সংগঠন প্রভৃতিও গড়ে উঠে। রাষ্ট্রের মধ্যস্থতামূলক ...

শ্রেণি কাকে বলে? মার্কসের শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বটি আলােচনা করাে।

শ্রেণি কাকে বলে? মার্কসের শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্বটি আলােচনা করাে। শ্রেণির সংজ্ঞা: এমিল বার্নস-এর মতে, একই প্রণালীতে জীবনযাত্রা নির্বাহ করে, সমাজের এইরকম এক-একটি অংশ হল এক-একটি শ্রেণি। লেনিনের মতে, সমাজে শ্রেণি হল সেই সামাজিক গােষ্ঠীসমূহ যাদের মধ্যে কোনাে এক গােষ্ঠী অর্থনীতির ক্ষেত্রে নিজ অবস্থানের জোরে অন্য কোনাে গোষ্ঠীর শ্রমকে আত্মসাৎ করে। লেনিনের এই সংজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়一 [1] শ্রেণি হল ঐতিহাসিক দিক থেকে বিচার্য এমন একটি বর্গ যা উৎপাদন ব্যবস্থার ক্রমবিকাশের একটি ফল। [2] শ্রেণি এমন একটি বর্গ যার অবস্থান নির্ধারিত হয় উৎপাদন ব্যবস্থার উপকরণগুলির সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। [3] সমাজ ব্যবস্থায় শ্রেণী চরিত্র নির্দেশিত হয় সমাজস্থ সম্পদ হস্তগত করার পদ্ধতি ও পরিমাণের উপর ভিত্তি করে। শ্রেণিসংগ্রাম ঐতিহাসিক বস্তুবাদ তত্ত্ব অনুযায়ী বৈর উৎপাদন সম্পর্ক উৎপাদন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণকারী সংখ্যালঘুদের সঙ্গে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষের বিরােধের সৃষ্টি করে। আদিম সাম্যবাদী সমাজে ভাঙনের পর থেকে ইতিহাসের এই ধারণাটিকে অনুসরণ করা হয়। মার্কস একেই বলেছেন শ্রেণিসংগ্...

প্রাচীন ভারতের বর্ন ও জাতি প্রথা সম্পর্কে আলোচনা করো?

ভূমিকা: – আর্যরা ছিল ফর্সা অন্যদিকে অনার্যদের গায়ের রঙ ছিল কালো এই ব্যবধানকে স্থায়ী করার উদ্যোশে আর্যদের মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করে। এই ভাবে বর্ণ প্রথার উদ্ভব ঘটে। এই প্রসঙ্গে আর্যরা গৌরবর্ণ ও অনার্যরা কৃষ্ণবর্ণ এই পার্থক্য বোঝাতে বর্ণ পথার উদ্ভব ঘটে তবে এই বর্ণ প্রথাই পরবর্তীকালে সমাজে জাতি প্রথার ভিত্তি ভূমি রচনা করে। চতুর্বর্ণ- বর্ণ বলতে বৈদিক সমাজের চতুর্বর্ণকে বলা হয়।অর্থাৎ ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয় বৈশ্য,শূদ্র এই চারটি বর্ণে বিভক্ত বৈদিক সমাজকে চতুর্বর্ণ বলা হয়। চতুর্বর্ণের উৎপত্তি- চতুর্বর্ণ উৎপত্তি প্রসঙ্গে ঋকবেদের পুরুষ সূত্রে বলা হয়েছে আদিপুরষ মুখমন্ডল থেকে ব্রাহ্মণ,বাহুদয় থেকে ক্ষত্রিয়, উরুদেশ বৈশ্য,শূদ্র এবং চরণ যুগল থেকে শূদ্র উৎপত্তি হয়েছে। চতুর্বর্ণের কার্য বিভাজন – বেদে চতুর্বর্ণের কার্য বিভাজন অর্থাৎ ব্রাহ্মণরা যাগ-যজ্ঞ ও পূজা আর্চনা করত ক্ষত্রিয় দের কাজ ছিল দেশ রক্ষা ও শাসন করা,বৈশ্যদের কাজ ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষি কাজ এবং শূদ্ররা এই তিনটি শ্রেণীর সেবা করতো। জাতি সম্পর্কে ধারনা- বৈদিক যুগের উপজাতি গুলির মধ্যে জাতি বৈষম্য না থাকলেও পরবর্তীকালে উপ...

রাজপুত জাতির উৎপত্তি সংক্রান্ত মতবাদ ও ভারতের জাতীয় জীবনে রাজপুত জাতির অবদান আলোচনা করো।

রাজপুত জাতির উৎপত্তি সংক্রান্ত মতবাদ ও ভারতের জাতীয় জীবনে রাজপুত জাতির অবদান 'রাজপুত্র' শব্দটির অপভ্রংশ রূপ হল 'রাজপুত'। ৭১২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১১৯২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে ভারতের ইতিহাসে রাজপুত যুগ বলে অভিহিত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে উত্তর ভারতে বিভিন্ন রাজপুত রাজবংশের উত্থান ঘটে। রাজপুত জাতির উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন পণ্ডিত ও ইতিহাসবিদ বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেছেন। রাজপুতদের দাবি: রাজপুতরা দাবী করেন যে, তাঁরা বৈদিক যুগের উচ্চবংশীয় ক্ষত্রিয়দের বংশধর। হর্ষবধনের সভাকবি বান ভট্টের মতে, রাজপুতরা ছিলেন সূর্য বা চন্দ্রের বংশ জাত। চাঁদ বরদাই এর অগ্নিকুল তত্ত্ব: কবি চাঁদ বরদাই তাঁর বিখ্যাত কাব্য ‘পৃথ্বীরাজ রাসো’ গ্রন্থে বলেছেন যে বলিষ্ঠ মুনি মাউন্ট আবু পাহাড়ে ২৪ দিন ধরে যজ্ঞ করে বীরের প্রাথনা করেছিলেন। বলিষ্ঠ মুনির এই যজ্ঞের আগুন থেকেই রাজপুত জাতির উৎপত্তি হয়েছে বলে চাঁদ বরদাই উল্লেখ করেছেন। কর্নেল টডের মিশ্র জাতি তত্ব: ব্রিটিশ ঐতিহাসিক কর্নেল টর্ড তাঁর ‘Annals and Antiquities of Rajasthan’ গ্রন্থে বলেছেন যে, শক, হুন, কুষাণ, গুজর প্রভৃতি বৈদেশিক জাতি ভারতে এসে স্...

প্রশ্ন – ভারতের ইতিহাসে সুলতানা রাজিয়া ও নূরজাহানের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা করো।

প্রশ্ন – ভারতের ইতিহাসে সুলতানা রাজিয়া ও নূরজাহানের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা করো। উত্তর:– ★ সুলতানা রাজিয়া– ভারত ইতিহাস তথা সমগ্র মুসলিম জাতির ইতিহাসে সুলতানা রাজিয়া একটি স্মরণীয় নাম। যে-সমস্ত নারী ভারত ইতিহাসে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিজ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন; তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুলতানা রাজিয়া। মধ্যযুগ তথা সুলতানি আমলের ইতিহাসে রাজিয়া ছিলেন প্রথম মহিলা শাসক। মধ্যযুগের ধর্ম-প্রভাবিত সমাজে একজন মুসলিম নারীর সিংহাসন লাভ ছিল অভূতপূর্ব ঘটনা। ★ সিংহাসন লাভ– দিল্লির সুলতান ইলতুৎমিস তাঁর জীবদ্দশায় কন্যা রাজিয়াকে দিল্লি সুলতানির উত্তরাধিকারী মনোনীত করলেও ইলতুৎমিসের মৃত্যুর পর দিল্লির গোঁড়া উলেমা শ্রেণি ও আমির-ওমরাহরা ইলতুৎমিসের অপদার্থ পুত্র রুকনউদ্দিন ফিরোজকে সিংহাসনে বসায়। কিন্তু অযোগ্য ও অপদার্থ রুকনউদ্দিন ফিরোজের বিরুদ্ধে দল্লির আমির-ওমরাহদের মনে শীঘ্রই ক্ষোভ জমা হতে থাকে। শেষপর্যন্ত কতিপয় আমির-ওমরাহদের সাহায্যে রুকনউদ্দিনকে সিংহাসনচ্যুত করে রাজিয়া দিল্লির সিংহাসনে বসেন। তিনি ১২৩৬ খ্রীঃ থেকে ১২৪০ খ্রীঃ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। ★ সমস্যা ও সমাধান– দিল্লির সুলতানি সিংহাসনে বসেই রাজিয়া বিভিন্...

প্রাচীন মিশরে নেফারতিতি ও ক্লিওপেট্রার কার্যাবলী |

ভূমিকা: মিশরের সভ্যতার রাজনৈতিক ইতিহাসের দুজন উল্লেখযোগ্য নারী ছিলেন নেফারতিতি ও ক্লিওপেট্রা। মিশরের রাজ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই দুজন নারীর অবদান ছিল অসামান্য।  নেফারতিতি:  খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ শতাব্দীতে আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম মহিলা চরিত্র ছিলেন মিশরের রানি নেফারতিতি। তিনি ছিলেন মিশরের রাজা আখেনাটনের স্ত্রী। ধর্মান্তরের আগে আখেনাটনের নাম ছিল চতুর্থ আমেনহোটেপ। আখেনাটনের নতুন ধর্মের উদ্ভব ও বিকাশের ক্ষেত্রে নেফারতিতির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নেফারতিতির খ্যাতি:  নেফারতিতি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে ছিলেন আনুমানিক 1370 খ্রিস্টপূর্ব থেকে 1330 খ্রিস্টপূর্ব মধ্যবর্তী সময়ে। তিনি ছিলেন মিশরীয় প্রশাসনের প্রথম মহিলা বা First lady। মিশরের ধর্মীয় জীবনে এই সময়ে বিরাট পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তনের অন্যতম কৃতিত্ব ছিল নেফারতিতির। রাজকীয় কতৃত্ব:  নেফারতিতির স্বামী চতুর্থ আমেনহোটেপ রাষ্ট্র পরিচালনা, শিকার, যুদ্ধবিগ্রহ অপেক্ষা ধর্মাচরণের ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগ দেন। এই অবস্থায় নেফারতিতি অঘোষিত রাষ্ট্র প্রতিরূপে মিশরের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পরিচালনা করেন। আই...

আকবরের ‘সুল-ই-কুল' ধর্মাদর্শের প্রতীক হিসেবে দীন-ই-ইলাহির পরিচয় দাও।

সূচনা: আকবরের ধর্মচিন্তার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে ‘দীন-ই ইলাহি নামে সমন্বয়ী ধর্মাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে (১৫৮১ খ্রি.)। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের উদ্দেশ্যে আকবর এই ধর্মমত প্রবর্তন করেন। বদাউনির বিবরণ থেকে জানা যায় যে, সুফি সাধক শেখ তাজউদ্দিন আকবরকে এই নতুন ধর্মাদর্শ প্রবর্তনে উদ্বুদ্ধ করেন। দীন-ই ইলাহির পরিচয় [1] শব্দার্থ ও তাৎপর্য: ফারসি শব্দ ‘দীন-ই-ইলাহি’র অর্থ হল ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস (মতভেদে পবিত্র)। আবুল ফজল ও বদাউনি এই ধর্মমতকে তৌহিদ-ই ইলাহি বা স্বগীয় একেশ্বরবাদ বলে উল্লেখ করেছেন। সমস্ত ধর্মের সারবস্তু নিয়ে গঠিত হয়েছে এই ধর্মমত। [2] মূলনীতি: 'দীন-ই ইলাহির মূল কয়েকটি নীতি ছিল- (a) নিরামিষ আহার, (b) দানধ্যান ও সমাজসেবা, (c) একে অপরকে আল্লাহ্ আকবর (ঈশ্বর মঙ্গলময়) বলে সম্বােধন করা এবং প্রত্যুত্তরে জাল্লা জালাল্লাহ্ (তাঁর মহিমার বিকাশ হেক) বলা, (d) অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরােধিতা করা। (e) সম্রাটের কাছে জীবন, ধর্ম, সম্পদ, মান বিসর্জনের প্রতিশ্রুতিদান। [3] প্রকৃতি: 'দীনই ইলাহি ছিল একটি সমন্বয়ী ধর্মমত। এখানে উপনিষদের একেশ্বরবাদ, বৌদ্ধ ও জৈন ...

ইউরোপের ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের কারণ

ইউরোপের ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের কারণ নবজাগরণের ফলে ইউরোপে যে যুক্তিবাদী চিন্তাধারার উদ্ভব ঘটেছিল তা থেকে ধর্ম বিচ্ছিন্ন থাকতে পারল না । ষোড়শ শতক থেকে ধর্মের ক্ষেত্রে যুক্তিবাদ কাজ করতে শুরু করে । চিরাচরিত খ্রিস্টীয় চার্চ কেন্দ্রিক ধর্মীয় রীতিনীতির প্রতি মানুষের মনে সংশয় ও প্রশ্ন দেখা দেয় । আর এই সূত্র ধরে শুরু হয় ধর্ম নিয়ে আন্দোলন । এই ঐতিহাসিক ঘটনা ধর্ম বিপ্লব নামে খ্যাত । ধর্ম বিপ্লবের পটভূমি হিসাবে একাধিক কারণ কাজ করেছিল ।  পোপতন্ত্রের ক্ষমতালিপ্সা  মধ্যযুগে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পোপের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব বজায় ছিল । ঈশ্বরের প্রতিনিধি রূপে দাবি করে পোপ রাজার ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করত । এক কথায় পোপ ‘ রাজস্রষ্টা ’ ( King maker ) এ পরিণত হয় । কিন্তু মানবতাবাদের প্রভাবে যে স্বাধীন চেতনার জন্ম হয় , তার ফলে রাজা নিজের স্বাধীন অস্তিত্বের কথা ভেবে পোপের বিরুদ্ধাচারণ করতে শুরু করেন । চার্চের দুর্নীতি  ক্যাথলিক চার্চ সমাজ ও রাষ্ট্রে অপ্রতিহত ক্ষমতা ভোগ করার ফলে চার্চগুলি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে । প্রধান ধর্মগুরু পোপ থেকে শুরু করে পদস্থ যাজকরা আধ্যাত্মিক বিষয় উপেক্ষা ...

ইউরােপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের অবদান আলােচনা করাে।

সূচনা: জার্মানি তথা ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬ খ্রি.)। তিনিই প্রথম খ্রিস্টান চার্চ ও পােপতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক আন্দোলনের সূচনা ঘটান। লুথারের ধর্মতত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরে অবিচল বিশ্বাসই মুখ্য, চার্চের আচার-আচরণ গৌণ ব্যাপার। ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের অবদান [1] পােপতন্ত্রের বিরােধিতা ইনডালজেন্সের বিরােধিতা: ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে যাজক টেটজেল সেন্ট পিটার্স চার্চ সংস্কারের অজুহাতে জার্মানির স্যাক্সনিতে যান। সেখানে তিনি পাপমুক্তির ছাড়পত্র হিসেবে ইনডালজেন্স বা মার্জনাপত্র বিক্রি করতে শুরু করেন। মার্টিন লুখার এই মার্জনাপত্র বিক্রয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। লুথারের ৯৫ থিসিস: লুথার ইনডালজেন্স বা মার্জনাপত্র বিক্রয়ের বিরুদ্ধে উইটেনবার্গের কাসেল চার্চের দরজায় তার লিখিত প্রতিবাদপত্র ‘পঁচানব্বই থিসিস' আটকে দেন। তার এই লিখিত প্রতিবাদের মধ্যে দিয়েই কলুষিত পােপতন্ত্রের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম জেহাদ ঘােষিত হয়। [2] খ্রিস্টধর্মের আদর্শের পুনরুজ্জীবনে প্রচেষ্টা: মাটিন লুথার খ্রিস্টধর্মাদর্শের পুনরুজ্জীবন ঘটান। লুথার বলেন যে, ভগবান হলেন সর্বশক্তিমান এব...

উদারনীতিবাদ কাকে বলে? এর মূল নীতি গুলি লেখো।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তাত্ত্বিক আলোচনায় রাষ্ট্রের কার্যাবলি এবং প্রকৃতি সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ হল উদারনৈতিক মতবাদ । বস্তুত , রাষ্ট্রবিজ্ঞানে উদারনীতিবাদের সাধারণ অর্থ হল রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তি স্বাধীনতার নীতি প্রতিষ্ঠা ।  এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনুযায়ী , উদারনীতিবাদ হল এমন এক ধারণা যা সরকারি কাজের নীতি ও পদ্ধতিরূপে , সমাজ গঠনের নীতিরূপে এবং ব্যক্তি ও সমাজের এক জীবনাদর্শরূপে ‘ স্বাধীনতা’কে প্রতিষ্ঠা করে ।  উদারনীতিবাদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে সারতোরি বলেছেন , উদারনীতিবাদ হল এমন এক আদর্শ যা ব্যক্তিস্বাধীনতা , আইনি সংরক্ষণ ও সাংবিধানিক রাষ্ট্র কাঠামোর অনুসরণ করে ।  হ্যারল্ড ল্যাস্কি উদারনীতিবাদ বলতে স্বাধীনতার অনুশাসনকে বুঝিয়েছেন । ব্যক্তির চিন্তা , বিশ্বাস , মতপ্রকাশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে উদারনীতিবাদ সর্বাধিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে চায় ।  উদারনীতিবাদ সংকীর্ণ ও ব্যাপক এই দুই অর্থেই ব্যবহৃত হয় । সংকীর্ণ অর্থে উদারনীতিবাদ বলতে এমন এক তত্ত্বকে বোঝায় যা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা কর...

নয়া উদারনীতিবাদের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো?

নয়া উদারনীতিবাদের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো?  উত্তর:- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে নবপ্রজন্মের উদারনীতিবাদী চিন্তাবিদরা‌ রাষ্ট্রের কর্ম পরিধিকে পুনরায় সীমিত করে ন্যূনতম কর্মসূচি সম্পন্ন রাষ্ট্র বা সীমিত রাষ্ট্রের ধারণাকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে নতুন ধাঁচের যে উদারনীতিবাদী তত্ত্বের অবতারণা করেন, তাকে নয়া উদারনীতিবাদ বলা হয়। বিংশ শতকের ৭ এর দশক থেকে এই তত্ত্ব ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। নয়া উদারনীতিবাদের প্রবক্তা গন:- নয়া উদারনীতিবাদের প্রধান প্রবক্তারা হলেন -ফেডারিক হায়েক, মিলটন ফিডম্যান, জন রলস, রবার্ট নজিক প্রমুখ। নয়া উদারনীতিবাদের বৈশিষ্ট্য:- নয়া উদারনীতিবাদের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য গুলি হল-  (i) ন্যূনতম কর্মসূচি সম্পন্ন রাষ্ট্র:- দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধোত্তর শিল্পভিত্তিক সমাজে উদারনৈতিক জনকল্যাণকামী রাষ্ট্রগুলি জনকল্যাণকামী কর্মসূচি রূপায়ণ করতে গিয়ে অতি ক্ষমতাশালী ও আমলাতান্ত্রিক হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে রাষ্ট্র ব্যক্তির প্রতিটি ক্ষেত্রেই হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে। ফলে উদারনীতিবাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে নবপ্রজন্মের উদারনীতিবাদী চিন্তাবিদরা ন্যূনতম কর্মসূচি সম...

কার্ল মার্কস-এর দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ | কার্ল মার্কসের দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের ব্যাখ্যা

ভূমিকা: মার্কসবাদের মৌলিক উপাদানগুলির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ। বলাবাহুল্য, দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ হল মার্কসবাদের প্রধান ভিত্তি বা ইমারত। এই দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ এর সাহায্যে কার্ল মার্কস মানব সমাজের উদ্ভব ও বিকাশের ইতিহাস বিশ্লেষণ করেছেন। মার্কসের দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে বৈজ্ঞানিক দার্শনিক বীশ্ববীক্ষা রূপে অভিহিত করা হয়। দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের মধ্যে মার্কসীয় দর্শনের তাত্ত্বিক ভিত্তি নিহিত রয়েছে। দুটি পরস্পরবিরােধী শক্তির সংঘাতজনিত প্রক্রিয়াকে দ্বন্দ্ববাদ (Dialectics) বলা হয়। হেগেল প্রথম দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু হেগেল ভাববাদী দার্শনিক হওয়ায় মার্কস ফয়েরবাখের কাছ থেকে বস্তুবাদী চিন্তার দ্বারা প্রভাবিত হন। হেগেলের দ্বন্দ্ব ও ফয়েরবাখ এর বস্তুবাদী চিন্তার সংমিশ্রণে মার্কস তাঁর দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ রচনা করেন। এই বিষয়টিকে সমর্থন করে মরিস কর্নফোর্থ বলেছেন, বস্তুবাদ একটি যুক্তিতর্কহীন বদ্ধমূল ধারণা নয়, বরং এটি হল প্রতিটি প্রশ্নকে বিচার বিশ্লেষণ অনুধাবন ও ব্যাখ্যার একটি উপায়। উৎপত্তি: দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল ...

উদ্বৃত্ত-মূল্যের তত্ত্ব : উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব ও গুরুত্ব | বিচ্ছিন্নতা তত্ত্ব : অর্থ ও প্রকৃতি, বিচ্ছিন্নতা সম্পর্কে মার্কসীয় তত্ত্ব

উদ্বৃত্ত-মূল্যের তত্ত্ব : উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব ও গুরুত্ব | বিচ্ছিন্নতা তত্ত্ব : অর্থ ও প্রকৃতি, বিচ্ছিন্নতা সম্পর্কে মার্কসীয় তত্ত্ব উদ্বৃত্ত-মূল্যের তত্ত্ব উদ্বৃত্ত-মূল্যের গুরুত্ব: পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার আর্থনীতিক বিকাশ ও গতি-প্রকৃতির ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় উৎপাদনের মূল লক্ষ্য হল মুনাফা অর্জন। এই উদ্দেশ্যে পুঁজিপতি শ্রমিককে শোষণ করে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় এই শ্রমিক-শোষণের প্রকৃতি সম্পর্কে পর্যালোচনা পাওয়া যায় উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্বে। মার্কসীয় দর্শন অনুসারে আর্থনীতিক ব্যবস্থাই হল বনিয়াদ। রাজনৈতিক উপরিকাঠামো (Super structure) তার উপরই গড়ে ওঠে। ইতিহাসের এই বস্তুবাদী ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে মার্কস আর্থনীতিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের উপর জোর দিয়েছেন। আর উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব হল মার্কসের অর্থনীতিক তত্ত্বের মূল কথা। মার্কসবাদের আলোচনায় উদ্বৃত্ত-মূল্যের তত্ত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে লেনিন বলেছেন: The doctrine of surplus value is the cornerstone of the economic theory of Marx.' এঙ্গেলস মন্তব্য করেছেন: “The discovery of surplus value su...