Posts

Showing posts from February, 2025

গ্রামসির পৌর সমাজের ধারণাটি সংক্ষেপে আলোচনা করুন|

 গ্রামসির পৌর সমাজের ধারণাটি সংক্ষেপে আলোচনা করুন| আন্তোনিও গ্রামসির 'পৌর সমাজ' (Civil Society) তত্ত্বটি মার্কসবাদী চিন্তাধারায় এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। গ্রামসির মতে, পৌর সমাজ হলো রাষ্ট্র এবং অর্থনীতির বাইরের সেই ক্ষেত্র, যেখানে বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠী, সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব মতামত ও মূল্যবোধ প্রকাশ করে এবং সমাজের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে অংশগ্রহণ করে। গ্রামসির পৌর সমাজ তত্ত্বের মূল ধারণাগুলো হলো: আধিপত্য (Hegemony):  গ্রামসি মনে করতেন, শাসকশ্রেণি শুধু বলপ্রয়োগের মাধ্যমে নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও আদর্শগত আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমেও ক্ষমতা ধরে রাখে।  পৌর সমাজ হলো সেই ক্ষেত্র, যেখানে এই আধিপত্য তৈরি হয় এবং বজায় থাকে। সাংস্কৃতিক সংগ্রাম (Cultural Struggle):  গ্রামসির মতে, সামাজিক পরিবর্তন আনতে হলে শুধু অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক সংগ্রাম যথেষ্ট নয়, সাংস্কৃতিক সংগ্রামও প্রয়োজন।  পৌর সমাজের মাধ্যমে বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ প্রচার করে এবং শাসকশ্রেণীর আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করে। বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা (Role of Intellectuals):  গ্রামসি মনে ...

"ইউরোপ রাষ্ট্রপ্রধান সভ্যতা, ভারতবর্ষ সমাজ প্রধান" -রবীন্দ্রনাথের বিশ্লেষণে এই কথার তাৎপর্য লিখুন|

  "ইউরোপ রাষ্ট্রপ্রধান সভ্যতা, ভারতবর্ষ সমাজ প্রধান" -রবীন্দ্রনাথের বিশ্লেষণে এই কথার তাৎপর্য লিখুন| রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই উক্তিটি ইউরোপীয় এবং ভারতীয় সভ্যতার মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য তুলে ধরে। তিনি ইউরোপীয় সভ্যতাকে "রাষ্ট্রপ্রধান" এবং ভারতীয় সভ্যতাকে "সমাজপ্রধান" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এই বিশ্লেষণের তাৎপর্য নিম্নরূপ:  ইউরোপীয় সভ্যতা (রাষ্ট্রপ্রধান):  ইউরোপের ইতিহাসে, রাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি সমাজের গঠনে এবং পরিচালনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে।©shikshakuthir  আইন, সরকার এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা সমাজের কাঠামো নির্ধারণ করে।  ব্যক্তির অধিকার এবং কর্তব্য রাষ্ট্রের আইনের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত হয়।©shikshakuthir  ইউরোপের রাষ্ট্রগুলি শক্তিশালী, কেন্দ্রীভূত এবং প্রায়শই সাম্রাজ্যবাদী ছিল।  ভারতীয় সভ্যতা (সমাজপ্রধান):  ভারতীয় সমাজে, সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি, যেমন জাতি, পরিবার এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়, সমাজের গঠনে এবং পরিচালনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে।  সামাজিক নিয়ম, ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় বিশ্বাসগুলি সমাজের কাঠামো নির্ধারণ করে।  ব্যক...

মন্তেশ্বরী শিক্ষা পদ্ধতি বলতে কী বোঝো? এই পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য গুলি সংক্ষেপে লেখো।

মন্তেশ্বরী শিক্ষা পদ্ধতি বলতে কী বোঝো? এই পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য গুলি সংক্ষেপে লেখো।  মন্তেসরি শিক্ষা  শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ ইতালীয় শিক্ষা ও বিবৃতি মাদাম মারিয়া মন্তরির বিদ্যালয় বিশেষভাবে পরিপালিত হয়। তার প্রস্তাব শিক্ষাপদ্ধতি মন্তেস শিক্ষাপদ্ধতিসা আরও উন্নয়ন।  মন্তেস তাঁর শিক্ষাকে বাস্তব রূপের জন্য ১৯০৭ সালে একটি আদালত স্থাপন করেন। যেটি "কাসা দেই বাম্বিনি" পরিচিত। অন্যের অর্থ হল 'শিশুদের জন্য গৃহ' বা শিশু নিকেতন। তিনি সাধারণ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন ইন্দ্রিয় প্রশিক্ষণমূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করেন, যেটি ডাইড্যাকটিক যন্ত্র (ডিডাকটিক যন্ত্রপাতি) কম্পিউটার পরিচিত। ©shikshakuthir মন্তেশ্বরী শিক্ষা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য :  মন্তেশরী শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলি যে দিক থেকে সমস্ত পরিলক্ষিত হয় সেগুলি হল ন -  ১. ব্যক্তিকেন্দ্রিক   মন্তেসরি শিক্ষা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য এটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতি। অন্য এই শিক্ষা পদ্ধতিতে ব্যক্তি কেন্দ্রিকতার উপর আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।  ২. অবাধ স্বাধীন  মন্তেসরি শিক্ষা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য হল অবাধ স্বাধীন। এখানে আগ্রহ, প্...

থর্নডাইকের শিখন সূত্র গুলি সংক্ষেপে লেখ। যেকোনো দুটি শিখন সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য সহ আলোচনা কর।

থর্নডাইকের শিখন সূত্র গুলি সংক্ষেপে লেখ। যেকোনো দুটি শিখন সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য সহ আলোচনা কর।  থর্নডাইকের শিখন সূত্র গুলি সংক্ষেপে লেখ। যেকোনো দুটি শিখন সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য সহ আলোচনা কর।  থর্নডাইকের শিখন সূত্রগুলি হল:  A. মুখ্য সূত্র (Primary Laws):  1.প্রস্তুতির সূত্র (Law of Readiness)  2. অনুশীলনের সূত্র (Law of Exercise)  3. ফললাভের সূত্র (Law of Effect)  B.গৌণ সূত্র (Secondary Laws):  i) বহুমুখী প্রতিক্রিয়ার সূত্র (Law of Multiple Response)  ii) মানসিক অবস্থার সূত্র (Law of mental set, attitude, or disposition)  iii) আংশিক প্রতিক্রিয়ার সূত্র (Law of partial activity)  iv)উপমানের সূত্র (Law of Analogy)  v) অনুষঙ্গমূলক সঞ্চালনের সূত্র (Law of Associative Shifting)©shikshakuthir দুটি শিখন সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য আলোচনা করা হল: 1. প্রস্তুতির সূত্র (Law of Readiness):  এই সূত্র অনুযায়ী, যখন কোনো শিক্ষার্থী কোনো কিছু শিখতে মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকে, তখন তার শেখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।  * শিক্ষাগত তা...

সিজদা ও পাইবস কি? কোন শাসক এই প্রথা চালু করেন?

 সিজদা ও পাইবস কি? কোন শাসক এই প্রথা চালু করেন? সিজদা ও পাইবস মূলত সুলতানি আমলে প্রচলিত দুটি পারসিক রীতি। দিল্লির সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন এই প্রথাগুলো চালু করেছিলেন। সিজদা: সিজদা শব্দের অর্থ হলো সুলতানের সামনে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে সম্মান প্রদর্শন করা। এই প্রথা অনুযায়ী, সুলতানের সামনে উপস্থিত ব্যক্তি নতজানু হয়ে মাথা দিয়ে মাটি স্পর্শ করে সম্মান জানাতেন। পাইবস: পাইবস শব্দের অর্থ হলো সুলতানের পদযুগল চুম্বন করা। এই প্রথা অনুযায়ী, সুলতানের সামনে উপস্থিত ব্যক্তি সুলতানের পায়ে চুমু দিয়ে সম্মান জানাতেন।©shikshakuthir এই প্রথাগুলো চালু করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল: রাজকীয় মর্যাদা বৃদ্ধি: সুলতানের ক্ষমতা ও মর্যাদা সাধারণ মানুষের মনে প্রতিষ্ঠা করা। রাজার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন: রাজার প্রতি প্রজাদের গভীর আনুগত্য প্রকাশ করা। পারসিক প্রভাব: পারস্যের রাজতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে নিজের রাজসভাকে জাঁকজমকপূর্ণ করে তোলা।©shikshakuthir গিয়াসউদ্দিন বলবন ছিলেন দিল্লির মামলুক বংশের একজন শক্তিশালী সুলতান। তিনি তার ক্ষমতাকে সুসংহত করার জন্য এই প্রথাগুলো চালু করেছিলেন।©shikshakuthir

সুলতানি যুগের শাসন কি ধর্মাশ্রয়ী ছিল? মতামত ব্যক্ত কর!

 সুলতানি যুগের শাসন কি ধর্মাশ্রয়ী ছিল? মতামত ব্যক্ত কর! সুলতানি যুগের শাসন পুরোপুরি ধর্মাশ্রয়ী ছিল কিনা, তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। তবে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যেতে পারে। ধর্মের প্রভাব: সুলতানি শাসকরা ইসলামের অনুসারী ছিলেন এবং তাদের শাসন ব্যবস্থায় ইসলামী আইনের প্রভাব ছিল। অনেক সুলতান উলেমাদের পরামর্শ নিতেন এবং তাদের শাসন ব্যবস্থায় শরিয়া আইনের প্রয়োগ দেখা যেত।©shikshakuthir ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য অনেক সুলতান মসজিদ, মাদ্রাসা এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। অ-মুসলিমদের প্রতি আচরণ: সুলতানি শাসনে অ-মুসলিমদের প্রতি বিভিন্ন নীতি অনুসরণ করা হত। কিছু সুলতান তাদের প্রতি সহনশীল ছিলেন, আবার কেউ কেউ কঠোর নীতি প্রয়োগ করতেন। অ-মুসলিমদের উপর জিজিয়া কর আরোপ করা হত, যা তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য একটি বিশেষ কর ছিল।©shikshakuthir তবে, অনেক অ-মুসলিম উচ্চপদে নিযুক্ত হতেন এবং তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতাও ছিল। রাজনৈতিক বাস্তবতা: সুলতানি শাসন সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় আদর্শের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হত না। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার...

উলেমা তন্ত্র বলতে কী বোঝো?

 উলেমা তন্ত্র বলতে কী বোঝো? "উলেমা তন্ত্র" (Ulema Tantra) বলতে মূলত মুসলিম সমাজে ধর্মীয় পণ্ডিত বা উলেমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবকে বোঝায়। এটি এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে উলেমাগণ ধর্মীয় জ্ঞানের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণ এবং সামাজিক নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করেন। উলেমা তন্ত্রের বৈশিষ্ট্য: ধর্মীয় কর্তৃত্ব: উলেমাগণ ধর্মীয় জ্ঞানের অধিকারী হওয়ায় সমাজে তাদের বিশেষ মর্যাদা থাকে। তারা ধর্মীয় আইনের ব্যাখ্যা এবং প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজের নৈতিক ও আইনি কাঠামো নির্ধারণ করেন। রাজনৈতিক প্রভাব : উলেমাগণ রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা শাসকগোষ্ঠীর উপর প্রভাব বিস্তার করে ধর্মীয় আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেন। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ : উলেমাগণ সমাজের নৈতিক মানদণ্ড নির্ধারণ এবং সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের সদস্যদের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে উৎসাহিত করেন। আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ : ইসলামী শরিয়া আইনের উপর ভিত্তি করে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করে থাকেন। বিচার ব্যবস্থা : অনেক সময় উলেমাগণ বিচার ব্যবস্থার সাথে জড়...

বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে কোপার্নিকাসের মতামত সংক্ষেপে আলোচনা কর

 বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে কোপার্নিকাসের মতামত সংক্ষেপে আলোচনা কর নিকোলাস কোপার্নিকাস (১৪৭৩-১৫৪৩) ছিলেন একজন পোলিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী, যিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে একটি বিপ্লবী ধারণা দেন। তার মতে, পৃথিবী নয়, সূর্যই সৌরজগতের কেন্দ্র। তার এই তত্ত্ব "সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্ব" নামে পরিচিত। কোপার্নিকাসের মূল মতামত: সূর্যকেন্দ্রিক বিশ্ব: কোপার্নিকাস বিশ্বাস করতেন যে, সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহগুলি সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এই ধারণা তৎকালীন প্রচলিত ভূকেন্দ্রিক তত্ত্বের বিরোধী ছিল, যেখানে মনে করা হত পৃথিবী বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্র। পৃথিবীর গতি: তিনি বলেন, পৃথিবী তার নিজের অক্ষের উপর ঘোরে, যার ফলে দিন ও রাত হয়। এছাড়াও, পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে, যার ফলে ঋতু পরিবর্তন হয়। গ্রহের কক্ষপথ: কোপার্নিকাস বিশ্বাস করতেন, গ্রহগুলির কক্ষপথ বৃত্তাকার।©shikshakuthir কোপার্নিকাসের গ্রন্থ: তার বিখ্যাত গ্রন্থ "দে রেভোলিউশনিবাস অরবিয়াম কোয়েলেস্টিয়াম" (De revolutionibus orbium coelestium) বা "নক্ষত্ররাজির ঘূর্ণন সম্পর্কে" তে তিনি ...

প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর

প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর প্রাচীন ভারতে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বৈদিক যুগ থেকে শুরু করে গুপ্ত যুগ পর্যন্ত ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাকাশের বিভিন্ন রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বৈদিক যুগ: বৈদিক যুগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণাগুলি ঋগ্বেদ এবং অন্যান্য বৈদিক গ্রন্থে পাওয়া যায়।©shikshakuthir এই সময়ে, ঋতু, চন্দ্র ও সূর্যের গতিবিধি এবং নক্ষত্রমণ্ডলের ধারণাগুলি তৈরি হয়েছিল। "বেদাঙ্গ জ্যোতিষ" নামে একটি প্রাচীন গ্রন্থ এই সময়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের জ্ঞানকে প্রতিফলিত করে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগ: গুপ্ত যুগে (চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতাব্দী) ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান তার স্বর্ণযুগে পৌঁছায়। এই সময়ে, আর্যভট্ট, বরাহমিহির এবং ব্রহ্মগুপ্তের মতো মহান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবির্ভূত হন। আর্যভট্ট তার "আর্যভট্টীয়" গ্রন্থে পৃথিবী গোলাকার এবং এটি নিজ অক্ষের উপর ঘোরে, এই ধারণা দেন।©shikshakuthir তিনি সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের কারণও ব্যাখ্যা করেন। বরাহমিহিরের "পঞ্চসিদ্ধান্তিকা" এবং ব্রহ্মগুপ্তের "ব...

ভৌগোলিক অভিযানে ভাস্কোদাগামা ও বারথেলো মিউজিয়াদের ভূমিকা আলোচনা কর

 ভৌগোলিক অভিযানে ভাস্কোদাগামা ও বারথেলো মিউজিয়াদের ভূমিকা আলোচনা কর ভৌগোলিক অভিযানে ভাস্কোদাগামা ও বার্থেলোমিউ ডিয়াজ-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নিচে তাদের ভূমিকা আলোচনা করা হলো: ভৌগোলিক অভিযানে ভাস্কোদাগামার ভূমিকা  ভাস্কো দা গামা ছিলেন একজন পর্তুগিজ নাবিক, যিনি ইউরোপ থেকে সমুদ্রপথে ভারতে পৌঁছানো প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। ১৪৯৭ সালের ৮ জুলাই পর্তুগালের লিসবন থেকে যাত্রা শুরু করে, তিনি ১৪৯৮ সালের ২০ মে ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছান। তার এই অভিযান বিশ্ব ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পথ খুলে দেয়। ভাস্কো দা গামার অভিযান: যাত্রা শুরু: ১৪৯৭ সালের ৮ জুলাই, ভাস্কো দা গামা চারটি জাহাজ নিয়ে লিসবন থেকে যাত্রা শুরু করেন।©shikshakuthir আফ্রিকা অতিক্রম: তিনি আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল ধরে যাত্রা করে কেপ অফ গুড হোপ অতিক্রম করেন। পূর্ব আফ্রিকা: পূর্ব আফ্রিকার মোজাম্বিক ও মালিন্দিতে তিনি স্থানীয় শাসকদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং একজন অভিজ্ঞ নাবিকের সাহায্য লাভ করেন।©shikshakuthir ভারতে আগমন: ১৪৯৮ সালের ২...

টিউডর বিপ্লব বলতে কী বোঝো?

টিউডর বিপ্লব বলতে কী বোঝো ? টিউডর বিপ্লব  "টিউডর বিপ্লব" (Tudor Revolution) বলতে মূলত ষোড়শ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের টিউডর রাজবংশের অধীনে সংঘটিত রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও ধর্মীয় পরিবর্তনগুলোকে বোঝায়। এই পরিবর্তনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো: শক্তিশালী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা : টিউডর রাজারা, বিশেষ করে সপ্তম হেনরি এবং অষ্টম হেনরি, রাজকীয় ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করে একটি শক্তিশালী রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। তারা পার্লামেন্টের ক্ষমতাকে সীমিত করে রাজকীয় কর্তৃত্ব বৃদ্ধি করেন। প্রশাসনিক সংস্কার: থমাস ক্রমওয়েলের মতো ব্যক্তিত্বের নেতৃত্বে প্রশাসনিক কাঠামোতে ব্যাপক সংস্কার আনা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার হয়।©shikshakuthir ধর্মীয় পরিবর্তন : অষ্টম হেনরির অধীনে ইংল্যান্ডের চার্চ রোমের কর্তৃত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং চার্চ অফ ইংল্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। মঠগুলির বিলুপ্তি এবং চার্চের সম্পত্তির বাজেয়াপ্তকরণ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন : বাণিজ্য ও নৌ-পরিবহনের প্রসার ঘটে। নতুন সামাজিক শ্রেণীর উত্থান হ...

জনস্বার্থ মামলার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

জনস্বার্থ মামলার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।  ভারতবর্ষের প্রেক্ষাপটে জনস্বার্থ মামলা (Public Interest Litigation বা PIL) বলতে এমন একটি আইনি প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে। এই মামলাগুলি সাধারণত সেইসব বিষয়ে দায়ের করা হয়, যেখানে সাধারণ মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বা জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। এখানে জনস্বার্থ মামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো:   উদ্দেশ্য :  সমাজের দুর্বল বা বঞ্চিত শ্রেণীর অধিকার রক্ষা করা।  পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা, দুর্নীতি, ইত্যাদি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চাওয়া।  প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।   বৈশিষ্ট্য :  যে কোনো নাগরিক বা সংগঠন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে পারে, এমনকি যদি তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত নাও হয়।  আদালত এই ধরনের মামলাগুলিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনে সরকারকে নির্দেশ দিতে পারে।  জনস্বার্থ মামলা বিচার বিভাগীয় সক্রিয়তার এক প্রধান উদাহরণ।©shikshakuthir   গুরুত্ব :  জনস্বার্থ মামলা সাধারণ ম...

সংবিধানের ষষ্ঠ তপশিলের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

সংবিধানের ষষ্ঠ তপশিলের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও  ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল উত্তর-পূর্ব ভারতের চারটি রাজ্য আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের উপজাতি অঞ্চলগুলির প্রশাসন সম্পর্কে বিধান করে। এই তফসিলটি এই অঞ্চলগুলির উপজাতি জনগোষ্ঠীকে তাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও রীতিনীতি রক্ষার জন্য স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে। ষষ্ঠ তফসিলের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হল:   স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ (Autonomous District Councils):  এই তফসিলের অধীনে, প্রতিটি উপজাতি অঞ্চলে একটি স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ গঠন করা হয়।  এই পরিষদগুলির আইন প্রণয়ন, বিচার এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা রয়েছে।  তারা জমি, বন, জল, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর আইন তৈরি করতে পারে।    আঞ্চলিক পরিষদ (Regional Councils) :  যদি কোনও জেলা পরিষদে একাধিক উপজাতি থাকে, তবে প্রতিটি উপজাতির জন্য একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা যেতে পারে।©shikshakuthir   রাজ্যপালের ভূমিকা:   রাজ্যপাল জেলা পরিষদগুলির কাজকর্ম তত্ত্বাবধান করেন এবং তাদের প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।  রাজ্যপাল জেলা পরিষদগুলির সীমানা পরিবর্তন করতে...

সংবিধানের পঞ্চম তপশিলের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

সংবিধানের পঞ্চম তপশিলের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও   ভারতীয় সংবিধানের পঞ্চম তফসিল তফসিলি অঞ্চল এবং তফসিলি উপজাতিদের প্রশাসন এবং নিয়ন্ত্রণের সাথে সম্পর্কিত। এই তফসিলটি মূলত তফসিলি উপজাতিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছে। পঞ্চম তফসিলের মূল বিষয়গুলি নিচে উল্লেখ করা হলো:    তফসিলি অঞ্চল ঘোষণা:   রাষ্ট্রপতি কোনো অঞ্চলকে তফসিলি অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন।  এই ঘোষণার মাধ্যমে সেই অঞ্চলের তফসিলি উপজাতিদের বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করা হয়।    উপজাতি উপদেষ্টা পরিষদ :  তফসিলি অঞ্চলগুলিতে উপজাতি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়।©shikshakuthir   এই পরিষদ তফসিলি উপজাতিদের কল্যাণ এবং উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেয়।    রাজ্যপালের ক্ষমতা:  তফসিলি অঞ্চলগুলিতে রাজ্যপালের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে।  তিনি তফসিলি উপজাতিদের স্বার্থে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ করতে পারেন।©shikshakuthir    আইন প্রয়োগ:  কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন আইন তফসিলি অঞ্চলগুলিতে প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করা হয়।   তফসিলি উপজাতিদের ...

ফ্রয়েবেলের কিন্ডারগার্টেন পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

ফ্রয়েবেলের কিন্ডারগার্টেন পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষেপে  আলোচনা করো। ফ্রয়েবেলের কিন্ডারগার্টেন পদ্ধতি: ফ্রয়েবেলের কিন্ডারগার্টেন পদ্ধতি শিশুদের প্রারম্ভিক শিক্ষা এবং বিকাশের জন্য একটি যুগান্তকারী পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে খেলাধুলা, গান, গল্প এবং বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক বিকাশের উপর জোর দেওয়া হয়। ফ্রয়েবেলের কিন্ডারগার্টেন পদ্ধতির মূল ধারণা:   শিশুদের প্রকৃতি: ফ্রয়েবেল বিশ্বাস করতেন যে শিশুরা সহজাতভাবে ভালো এবং তাদের মধ্যে শেখার অদম্য আগ্রহ থাকে।   খেলাধুলা: খেলাধুলা শিশুদের বিকাশের জন্য অপরিহার্য। এটি তাদের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।   সৃজনশীলতা: শিশুদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা উচিত। তাদের নিজস্ব ধারণা এবং চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া উচিত।   সামাজিক মিথস্ক্রিয়া: শিশুরা একে অপরের সাথে মিথস্ক্রিয়া করার মাধ্যমে শেখে। কিন্ডারগার্টেন শিশুদের মধ্যে সহযোগিতা, ভাগাভাগি এবং সহানুভূতি গড়ে তুলতে সহায়তা করে।   প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক : শিশুরা প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে শেখে। প্...

পাঠক্রমের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সমুহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করো

পাঠক্রমের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সমুহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করো  ১. শিক্ষার উদ্দেশ্য :-  শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি বাস্তব রূপ পরিগ্রহ করে পাঠক্রমের মাধ্যমে। তাই পাঠক্রমের প্রধান উপাদান হল শিক্ষার উদ্দেশ্য। শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলিকে সার্থক করে তুলতে যা কিছু পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন সেগুলিকে পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করে পাঠক্রমকে শিক্ষার্থীর পক্ষে গ্রহণযোগ্য ও উপযুক্ত করে তোলা হয়।  ২. বিষয়বস্তুর প্রকৃতি ও পরিধি :-  ভাষা জ্ঞান , যুক্তি নির্ণয় , সামাজিক জ্ঞান , প্রযুক্তিগত বোধ , বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা - ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের বিকাশ যাতে শিশুর মধ্যে গড়ে ওঠে সেজন্য পাঠক্রমে বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেমন - সাহিত্য , গণিত , ইতিহাস , ভূগোল , প্রকৃতি বিজ্ঞান - ইত্যাদি। এই সকল বিষয়গুলি পঠন পাঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার পরিচিত জগৎ সম্পর্কে উপযুক্ত ধারণা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।  ৩. বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুর বিকাশ :-  আধুনিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ। তাই সর্বাঙ্গীন বিকাশের লক্ষ্যে শিশুর মধ্যে - দৈহিক , শারীরিক , প্রাক্ষোভিক , নৈতিক , কৃষ্টি...

উদাহরণাহ বিভিন্ন পাঠক্রম আলোচনা করো।

উদাহরণাহ বিভিন্ন পাঠক্রম আলোচনা করো  পাঠক্রমের শ্রেণিবিভাগ :  পাঠক্রমকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত হয়। কোনো কোনো শিক্ষাবিদ পাঠক্রমকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করেছেন।যেমন — [1] লুক্কায়িত পাঠক্রম এবং [2] লিখিত পাঠক্রম। [1] লুক্কায়িত পাঠক্রম : ২য় পাঠক্রমে প্রোজেক্ট বা অ্যাসাইনমেন্টের কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর জ্ঞানবৃদ্ধি, দক্ষতার বিকাশ এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন বিষয়ে প্রত্যাশা করা হয়। কিন্তু ওই প্রত্যাশাগুলি ব্যক্ত হয় না বা পাঠক্রম পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয় না বলেই তাকে লুক্কায়িত পাঠক্রম বলে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রবেশ করলে, উঠে দাঁড়ানো, বিদ্যালয়ের কোনো কাজে শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহযোগিতা—এসবই লুক্কায়িত পাঠক্রমের বিষয়।©shikshakuthir [2] লিখিত পাঠক্রম : নির্দিষ্ট শিখন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, বিষয়বস্তু ও অভিজ্ঞতা নির্বাচনের মাধ্যমে বিশেষ শিক্ষণ কৌশল প্রয়োগে শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপনের দ্বারা পূর্বপরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত যে পাঠক্রম বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুসৃত হয়, তাকে লিখিত পাঠক্রম বলে। এই ধরনের পাঠক্রমের পাঁচটি মূল বিভাগ হল — (i) অভিজ্ঞতাভিত্তিক পাঠক্রম (ii) জীবনকেন্দ্...

Kalyani University UG CBCS NEP 1st Semester Political Science Major CC-01 PYQ And Answer রাষ্ট্রবিজ্ঞান মেজর প্রথম সেমিস্টারের প্রশ্ন উত্তর

Kalyani University UG CBCS NEP 1st Semester Political Science Major CC-01 PYQ And Answer রাষ্ট্রবিজ্ঞান মেজর প্রথম সেমিস্টারের প্রশ্ন উত্তর 1. রাষ্ট্রের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য লিখুন।  2. জাতি গঠনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দুটি উপাদানের উল্লেখ কর । 3. সার্বভৌমিকতার বহুত্ববাদী তত্ত্বের যেকোনো দুজন প্রবক্তার নাম লিখুন।  4. ক্ষমতার দুটি উৎসের নাম লেখ। 5. জাতীয়তাবাদের বিপক্ষে দুটি যুক্তি দাও। 6. আইনের দুটি উৎসের নাম লেখ। 7. A Theory of Justice গ্রন্থটি কার লেখা।  8. উদারনৈতিক গণতন্ত্রের দুজন প্রবক্তার নাম লেখ।  9. প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ। 10. একনায়ক তন্ত্রের যেকোনো দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।  11. ডেভিডেন্ড এর পর্যালোচনা অনুযায়ী গণতন্ত্রের দুটি প্রকারের উল্লেখ কর।  12. নাগরিকতা অর্জনের দুটি পদ্ধতি উল্লেখ কর।  13. ক্ষমতাও কর্তৃত্বের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।  14. যেকোনো দুটি ভাববাদী রাষ্ট্র দার্শনিকের নাম লেখ।  15. যেকোনো দুটি অর্থনৈতিক অধিকারের উল্লেখ করো।  16. পলিটিক্স গ্রন্থের রচয়িতা কে?  17. বৈধ ক্ষমতা কাকে বলে?  18. আন্...

ভারতের নির্বাচন কমিশনের গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী সংক্ষেপে আলোচনা কর।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের গঠন ক্ষমতা ও কার্যাবলী সংক্ষেপে আলোচনা কর।  ভারতীয় নির্বাচন কমিশন হল একটি সংবিধান-স্বীকৃত, স্বশাসিত ও স্থায়ী প্রতিষ্ঠান। সংবিধানের ৩২৪ নং অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনের কথা বলা হয়েছে। ভারতীয় নির্বাচন কমিশন দেশের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, সংসদ, রাজ্য বিধানসভা এবং রাজ্য বিধান পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা করে।©shikshakuthir গঠন :  * ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ ধারা অনুযায়ী, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংবিধান-স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা ।  * ভারতের রাষ্ট্রপতি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিযুক্ত করেন। প্রয়োজনে একাধিক নির্বাচন আধিকারিককে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সহকারী হিসেবেও নিয়োগ করা যেতে পারে।  * বর্তমানে ভারতের নির্বাচন কমিশন একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং দুইজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে গঠিত।©shikshakuthir  * মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত করা হয়।  * তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর অথবা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত, যেটি আগে হয়। ক্ষমতা ও কার্যা...

Kalyani University UG CBCS NEP 3rd Semester Political Science Major CC-03 PYQ And Answer রাষ্ট্রবিজ্ঞান মেজর তৃতীয় সেমিস্টারের প্রশ্ন উত্তর

Kalyani University UG CBCS NEP Political Science Major CC-03 PYQ And Answer রাষ্ট্রবিজ্ঞান মেজর তৃতীয় সেমিস্টারের প্রশ্ন উত্তর  1.শ্রুতির নিহিতার্থ অর্থ কি? 'শ্রুতি' একটি সংস্কৃত শব্দ, যা √श्रु (শ্রু - শোনা) ধাতু থেকে উৎপন্ন হয়েছে।  শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল "যা শোনা হয়েছে"।  বৈদিক ঐতিহ্যে 'শ্রুতি' বলতে বোঝায় সেই জ্ঞান বা বাণী যা ঋষিরা তাঁদের গভীর ধ্যানের মাধ্যমে "শুনেছিলেন" বা "উপলব্ধি" করেছিলেন।  এই জ্ঞান মানুষের দ্বারা রচিত নয়, বরং এটি অপৌরষেয় (man-made নয়), অর্থাৎ এটি ঈশ্বরের বা দিব্য উৎস থেকে প্রাপ্ত বলে মনে করা হয়।©shikshakuthir 2.প্রাচীন ভারতের শ্রমণবাদের মূল লক্ষ্য কি ছিল? শ্রমণবাদের মূল লক্ষ্যসমূহ: ১. মুক্তি বা নির্বাণ (মোক্ষ) ২. নৈতিক জীবনযাপন ও অহিংসা (শীল)৩. ধ্যান ও যোগ (সমাধি/ধ্যান)৪. বৈদিক যাগযজ্ঞ ও আনুষ্ঠানিকতার বিরোধিতা৫. জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা ও সামাজিক সাম্য ৬. ব্যক্তিগত মুক্তি ও আত্ম-উন্নতি। 3.প্রাচীন ভারতের রাষ্ট্রচিন্তার দুটি সংক্ষিপ্ত বৈশিষ্ট্য লেখ প্রাচীন ভারতীয় রাষ্ট্রচিন্তার দুটি সংক্ষিপ্ত বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ ক...

জৈন ও বৌদ্ধধর্মের মধ্যে কী ধরনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য ছিল?

 জৈন ও বৌদ্ধধর্মের মধ্যে সম্পর্ক কী ধরনের ছিল? অথবা, জৈন ও বৌদ্ধধর্মের মধ্যে কী ধরনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য ছিল? উত্তর:জৈন ও বৌদ্ধধর্মের মধ্যে সম্পর্ক সূচনা: খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে বৈদিকধর্মের আড়ম্বরপ্রিয়তা, জাতিভেদ, তন্ত্রমন্ত্র প্রভৃতির বিরুদ্ধে কতকগুদি প্রতিবাদী ধর্মমতের উত্থান ঘটেছিল। জৈন ও বৌদ্ধধর্ম ছিল এর মধ্যে অন্যতম। এই দুই ধর্মমতের মধ্যে বেদ কিছু সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। সাদৃশ্য [1] জৈন ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মের উদ্ভব ঘটেছিল বৈদিকধর্মের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ধর্ম হিসেবে। বৈদিকধর্মের জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা, মূর্তিপূজা, আড়ম্বরপূর্ণ যাগযজ্ঞ প্রভৃতির তীব্র বিরোধিতা জৈন ও বৌদ্ধধর্মের মধ্যে দেখা যায়।©shikshakuthir [2] উভয় ধর্মের প্রবর্তকরা ছিলেন ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের মানুষ। [3] উভয় ধর্মে মানুষকে কর্মফল ও জন্মান্তরবাদের হাত থেকে মুক্ত করার কথা প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। [4] জৈন ও বৌদ্ধধর্মে অহিংসা নীতির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।©shikshakuthir [5] উভয় ধর্মের প্রচারকগণ প্রাকৃত ভাষায় সাধারণ মানুষের কাছে তাঁদের ধর্মমত তুলে ধরেছিলেন। এ ছাড়া পূর্ব ভারতে উভয় ধ...

হর্ষবর্ধনের শাসন ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

  হর্ষবর্ধনের শাসন ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থানেশ্বরের রাজা প্রভাকর বর্ধনের মৃত্যুর পর তার জ্যৈষ্ঠ পুত্র রাজ্যবর্ধন ৬০৫ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে বসেন।কিন্তু এক বছরের মধ্যেই ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যবর্ধনের অকাল মৃত্যুর পর রাজা প্রভাকর বর্ধনের কনিষ্ঠ পুত্র হর্ষবর্ধন পুষ্যভূতি বংশের উত্তর অধিকারী হিসাবে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। বানভট্টের হর্ষচরিত এবং চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং -এর বিবরণী থেকে জানা যায় হর্ষবর্ধন শুধুমাত্র একজন সাম্রাজ্য বিজেতা হিসাবে নয়, একজন প্রজাকল্যাণকামী শাসক হিসেবেও যথেষ্ট সফল ছিলেন।তার শাসনব্যবস্থাকে ‘প্রজাহৈতেষী স্বৈরাচার‘ হিসাবে বর্ণনা করা হয়।©shikshakuthir হর্ষবর্ধনের মন্ত্রী পরিষদ ও অমাত্যগণ মন্ত্রীপরিষদ রাজাকে শাসনকার্যে সহায়তা করত। রাজ্যে যুদ্ধ, বিদ্রোহ বা অন্য কোন সঙ্কটজনক পরিস্থিতি দেখা দিলে মন্ত্রীপরিষদ রাজাকে অবিরাম পরামর্শ ও সাহায্য করত। রাজ্যবর্ধনের মৃত্যুর পর মন্ত্রী ও অমাত্যরাই হর্ষকে সিংহাসনে বসতে অনুরোধ জানায়। এছাড়া হর্ষচরিত ও মধুবন লিপি থেকে জানা যায় যে, বহু উচ্চপদস্থ অমাত্য হর্ষকে শাসন কার্যে সহায়তা করতেন। কুমারমাত্যরা ছিলেন শিক্ষানবীশ মন্ত্রী ...

একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের ইতিহাস

 History Unit 4 1. অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি কে, কবে আবিষ্কার করেন। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে বর্ণিত রাজস্বব্যবস্থা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।  অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি কৌটিল্য (চাণক্য) খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে রচনা করেন। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে বর্ণিত রাজস্ব ব্যবস্থা মূলত কৃষিনির্ভর ছিল, যেখানে ভূমি রাজস্ব প্রধান উৎস ছিল। এছাড়াও, বাণিজ্য, শুল্ক, জরিমানা এবং বিভিন্ন প্রকার কর থেকেও রাজস্ব সংগ্রহ করা হতো। 2. অর্থশাস্ত্রের বিষয়বস্তু কী।  অর্থশাস্ত্রের বিষয়বস্তু মূলত রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি ও সামরিক কৌশল সম্পর্কিত। এটি একটি রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা, রাজার কর্তব্য, আইন, বিচার, রাজস্ব সংগ্রহ, যুদ্ধ এবং শান্তির নীতি নিয়ে আলোচনা করে। 3. ফতোয়া-ই-জাহান্দারি গ্রন্থের বিষয়বস্তু লেখো।  ফতোয়া-ই-জাহান্দারি গ্রন্থে মূলত মুসলিম শাসকদের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়ম ও নীতি এবং উপদেশাবলী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এখানে ধর্ম, ন্যায়বিচার, সামরিক কৌশল এবং প্রজাদের প্রতি রাজার দায়িত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 4. 'জিলুল্লাহ' শব্দের অর্থ কী? জিয়াউদ্দিন বরনি রচিত দুটি গ্রন্থের ন...